প্রতীকী ছবি
ছোটবেলাতেই মারা গিয়েছিলেন বাবা-মা। সেই থেকে মামারবাড়িতেই ছিল মেয়েটি। কিন্তু আর্থিক দুরবস্থার জন্য বছর তেরোর সেই কিশোরীকে পাঠানো হয়েছিল মামার শ্বশুরবাড়িতে। সেখানেই ওই কিশোরীকে ফাঁকা বাড়িতে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মামার শ্যালকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার কিশোরীর দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। পুরুলিয়া সদর থানা এলাকার এই ঘটনায় স্তম্ভিত অনেকে।
বুধবার অভিযুক্তকে পুরুলিয়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার সকালে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কিশোরীর বাবা ঝাড়খণ্ডে থাকতেন। দুই ছেলের পরে, মেয়ের জন্ম। কিন্তু মেয়েটির জন্মের কিছুদিনের মধ্যে তার মা মারা যান। কয়েকবছর পরে মারা যান বাবা। ছোট থেকেই তাই মামার বাড়িতে মেয়েটিকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু মামার আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় কিশোরীকে তিনি পাঠিয়েছিলেন নিজের শ্বশুরবাড়িতে।
কিশোরীর এক দাদা কর্মসূত্রে হাজারিবাগে থাকেন। তিনি জানান, কয়েকমাস অন্তর বোনকে দেখতে আসেন। বোন পড়াশোনা করে না। মামার শ্বশুরবাড়িতে গৃহস্থালির কাজে সাহায্য করত। কিন্তু তাঁর উপরে যে এমন অত্যাচার চলছে তা প্রথম জানতে পারেন এক পরিচিত মহিলার কাছে। সেই মহিলাকেই তাঁর বোন নির্যাতনের কথা জানিয়েছিল। পরে তিনি বোনের সঙ্গে কথা বলার পরেই থানায় যান।
কিশোরীর দাদা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁর বোনকে মামার শ্যালক গত দু’মাসে বার দু’য়েক ফাঁকাবাড়িতে ধর্ষণ করে। যাতে সে কথা কাউকে না জানায়, সে জন্য ওই যুবক বদনাম রটিয়ে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। বাধ্য হয়ে সে ওই মহিলাকে সব জানায়। মঙ্গলবার পুলিশ ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের বাড়িতে তার মা ও বাবা রয়েছে। সে একটি খাবারের দোকান চালাত। ধৃত অবশ্য পুলিশের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ঘটনা সম্পর্কে কিশোরীর মামা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বহু চেষ্টাতেও যোগাযোগ করা যায়নি ধৃতের পরিবারের সঙ্গেও।