কলহপুর গ্রামে মন্ত্রীর বাড়িতে তৃণমূলে যোগদান। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলায় না থাকলেও তাঁর আদর্শেই বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন চলছে বলে মন্তব্য করলেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বস্ত্রমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। মঙ্গলবার মন্ত্রীর বাড়ি, পাইকর ২ ব্লকের কলহপুর গ্রামে তাঁর উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগদান করেন বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
পঞ্চায়েত ভোটে নলহাটি ২ ব্লকের তিনটি পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত সমিতির আসন ও একটি জেলা পরিষদের আসনও বিরোধীদের দখলে গিয়েছিল। তৃণমূল সূত্রে দাবি, সেই থেকে দলীয় নেতৃত্ব ‘পাখির চোখ’ করে সংগঠন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছিলেন ওই ব্লকে।
এ দিন নলহাটি ২ ব্লকের ভদ্রপুর, নোয়াপাড়া ও শীতলগ্রামের বেশ কয়েকজন সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীরা মন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূলে দলীয় পতাকা নিয়ে যোগদান করেন। চন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষ ছিল। যাঁরা অন্য দলে গিয়েছিলেন, অনেকেই ফিরেছেন। জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আদর্শে দল চলছে। তিনি যে পদ্ধতিতে দলকে জয়ী করতেন সেই পথেই দলের কর্মীরা সংগঠন বাড়াচ্ছেন।”
বিজেপি থেকে তৃণমূলে গিয়ে বিধান হোড় দাবি করেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করছিলাম। বিজেপি নেতৃত্ব এলাকার উন্নয়ন না করে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়টি কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না শীতলগ্রাম ও নলহাটি ২ ব্লকের বহু বিজেপি কর্মী। তাই তাঁরা এ দিন তৃণমূলে যোগদান করেন।’’ ভদ্রপুর ২ পঞ্চায়েতের তিন সদস্য, নোয়া পঞ্চায়েতের দুই জন সদস্য ও শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ বিজেপি সদস্যও তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।
বিরোধীরা অবশ্য এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে চায়নি। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক ঝলক মণ্ডল বলেন, “বিধান কোনও দিন বিজেপির কর্মী ছিলেন না। তৃণমূল বিজেপি সাজিয়ে যোগদান করাচ্ছে। নলহাটি ২ ব্লকে তৃণমূলের কোনও সংগঠন নেই।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণ বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেস থেকে কোনও পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করেছেন বলে জানা নেই। তৃণমূল ভোটের আগে যে নাটক করে সেই নাটক আবার শুরু করে দিয়েছে।”