ফেরা: ভিন্ রাজ্যের পথে পরিযায়ীরা। নিজস্ব চিত্র।
ট্রেন চলাচল এখনও বন্ধ কিন্তু রুটিরুজির টানে পুজো শেষ হতেই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাস ভাড়া করে ভিন্ জেলা ও ভিন্ রাজ্যে নিজেদের কাজের জায়গায় যেতে শুরু করেছেন। দিন তিনেক ধরে মুরারইয়ের বিভিন্ন গ্রাম ভাড়া করা বাস এসে দাঁড়াচ্ছে। দল বেঁধে পরিযায়ী শ্রমিকরা তাতে উঠছেন ও কাজে যোগ দিতে যাচ্ছেন। রবিবারও এমন ছবি দেখা গেল মুরারইয়ের বিভিন্ন রাস্তায়। কনকপুর, ভাদীশ্বর, রাজগ্রাম, বাঁশলৈ ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামের বাইরে থেকে বাসে চড়ে কেউ যাচ্ছেন ইট ভাটায় আবার অনেকে ধান কাটতে ও নির্মাণ শ্রমিকের কাজেও যাচ্ছেন।
পরিযায়ী শ্রমিকরা জানান, প্রথম দিকে সরকারি আশ্বাস মিললেও পুজো চলে আসার পরেও গ্রামে বা কাছাকাছি কোনও কাজ মেলেনি। তাই বাধ্য হয়েই ভিন্ জেলা ও ভিন্ রাজ্যে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, যেভাবে উদ্যোগী হয়ে সরকার তাঁদের ফিরিয়ে এনেছিল তাতে কাজ দেওয়ারও আশ্বাস ছিল। কিন্তু ছ’মাস ধরে বাড়িতে রোজগারহীন হয়ে বসে থাকলেও দু'মুঠো অন্য সংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। কেউ কেউ বলেন, ‘‘প্রশাসন যদি আমাদের এলকায় ছোট, মাঝারি শিল্পে গড়ে তুলত তাহলে আমাদের ভিন্ জেলা ও অন্য রাজ্যে কাজে যেত হত না।’’
কনকপুর গ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক ধীরেন মাল, সন্তোষ দাসরা বলেন, ‘‘দেনা করে পুজো কাটিয়েছি। মহাজনকে টাকা শোধ করতে হবে তাই পরিবার নিয়ে নদিয়ায় ইট ভাটায় কাজ করতে যাচ্ছি। পাঁচ মাস কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করব তাতে দেনা শোধ হবে, সংসারও চলবে।’’ মুরারইয়ের বিধায়ক আব্দুর রহমান বলেন, ‘‘শিল্পের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি। মুরারই বিধানসভায় দুই থেকে তিনটে মাঝারি শিল্প হওয়ার কথা আছে। ক্ষুদ্র শিল্পে জোর দেওয়া হচ্ছে। একটু সময় তো লাগবেই।’’