Migrant worker

সাত দিন মুরগি খামারে কাটাতে হল শ্রমিককে

নলহাটি ১ ব্লকের হরিদাসপুর অঞ্চলের কয়ারবিল গ্রামে বাড়ি প্রশান্ত মাল নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০৫:০৮
Share:

পরিত্যক্ত পোলট্রি খামারে কাটল দিন। ছবি: তন্ময় দত্ত

লকডাউন তাঁর রুজি-রুটি কেড়েছে। কোনও মতে নিজের জেলাতে ফিরেও দুর্দশা ঘোচেনি। পরিত্যক্ত পোলট্রি খামারে রাত কাটাচ্ছিলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। শনিবার এই খবর জানাজানি হতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে গৃহ-নিভৃতবাসে পাঠানো হয়।

Advertisement

নলহাটি ১ ব্লকের হরিদাসপুর অঞ্চলের কয়ারবিল গ্রামে বাড়ি প্রশান্ত মাল নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের। লকডাউনে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পরে তিনি এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন শ্রমিক বাস ভাড়া করে দিন সাতেক আগে বীরভূমে ফেরেন। ওই শ্রমিক নিজের গ্রামে ঢুকতে চাইলে গ্রামবাসী এবং ভিলেজ পুলিশকর্মী জানান, তাঁকে গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। কিন্তু, সেখানে থাকার পরিকাঠামো না থাকায় গ্রামের বাইরে একটি জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যক্ত পোলট্রি খামারে রাত কাটাতে শুরু করেন ওই শ্রমিক। বাড়ি থেকে দু’বেলা খাবার পৌঁছে দেওয়া হত সেখানে। বিদ্যুত না থাকায় লন্ঠন জ্বালিয়ে রাত কাটাচ্ছিলেন ওই শ্রমিক।

এই খবর জানাজানি শুরু হতেই তড়িঘড়ি ওই শ্রমিককে ফের গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে নিয়ে যায় প্রশাসন। তত দিনে অবশ্য ব্লকের প্রতিষ্ঠানিক নিভৃতবাস থেকে আরও কেয়ক জন শ্রমিক প্রাথমিক স্কুলে এসে থাকছিলেন। সূত্রের খবর, তাঁরা প্রশান্তকে থাকতে বাধা দেন। তঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা প্রায় ১২ দিন নিভৃতবাসে কাটিয়েছেন। এখন নতুন করে কেউ এলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। পরিস্থিতি বুঝে শেষ পর্যন্ত ওই শ্রমিককে নিজের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেয় ব্লক প্রশাসন। ওই শ্রমিক বলেন, “গ্রামবাসীরা ঢুকতে না দেওয়ায় পরিত্যক্ত পোলট্রি খামারে খুব কষ্টে ছিলাম। সরকার থেকে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মহারাষ্ট্র থেকে পাঁচ দিন ধরে বাসে খুব কষ্ট করে গ্রামে ফিরেছিলাম। এখানে এসেও চরম কষ্ট পেলাম! কেউ খবর রাখেনি।”

Advertisement

বিডিও (নলহাটি ১) জগদীশ চন্দ্র বাড়ুই বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ওই শ্রমিকের পরিবারের বা গ্রামের কেউই আমাদের এই কথা জানাননি। খবর পেয়ে ওই শ্রমিককে উদ্ধার করে আমরা ব্লকে আনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু

ইতিমধ্যেই তাঁর সাত দিন বাড়ির বাইরে আলাদা থাকা হয়ে গিয়েছে। তাই পরিবারের অনুরোধে তাঁকে বাড়িতে আলাদা ভাবে থাকার জন্য বলা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement