ভোটের দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে শাসক দল তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বোলপুরে প্রচারে জোর দিচ্ছে বিজেপি। সোমবার পুর ও নগরোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত দফতরের দুই মন্ত্রীকে মাঠে নামিয়ে নির্বাচনী জনসভা এবং রোড শো করার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতে, মাঠে নামল দলের রাজ্য নেতা রিতেশ তিওয়ারি এবং চিত্র তারকা তথা দলীয় নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বোলপুরে দলীয় প্রার্থীদের ভোট প্রচারে দুই নেতাকে নিয়ে রোড-শো করল বিজেপি।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা কার্যত শহর দাপিয়ে বেড়ায় বিজেপি। কখন স্টেশন রোডে হাত নেড়ে, আবার কখনও চৌরাস্তায় করজোড়ে দলীয় প্রার্থীদের ভোট চাইলেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির সামনে দিয়েও রোড শো করে হরগৌরী তলা হয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ভোট ভিক্ষা করেন রিতেশ এবং জয়। রাজ্যের তৃণমূল সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করেন বিজেপি নেতা রিতেশ এবং জয়। নির্বাচন কমিশনকে ‘তৃণমূল কমিশন’ বলে কটাক্ষ করে রিতেশ বলেন, “নির্বাচনকে পরিচালনা করার অধিকার ববি হাকিমকে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এক দিকে বলছে, রাজ্যজুড়ে এত উন্নয়ন করেছে, তাদের সঙ্গে মানুষ রয়েছে। অথচ বিরোধীদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না। পোস্টার ছিঁড়ে দিতে হচ্ছে। বিরোধীদের প্রচারে এত ভীত কেন?’’
সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বোলপুরের চৌরাস্তা থেকে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে রোড শো করে বিজেপি। বোলপুরের একাধিক ওয়ার্ডে যায় মিছিলটি। মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে ভোটারদের দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানান বিজেপির দুই রাজ্য নেতা। কাছারিপট্টি থেকে ডাঙ্গালিকালীতলা, নিচুপট্টি থেকে হরগৌরিতলা। চিত্রা মোড়, কলেজ রোড এবং শ্রীনিকেতন রোড ধরে মিছিল ঢোকে রেল ময়দানে। এদিন সন্ধ্যায় বোলপুরের উকিলপট্টিতে একটি নির্বাচনী প্রচার সভাও করে বিজেপি।
চিত্র তারকা তথা বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনুব্রতসাহেব যদি শান্ত থাকেন তাহলে, বীরভূমের চারটি পুরসভাতে আমরা বোর্ড গঠন করবো। আর উনি যদি গত নির্বাচনে গ্রামের দিকে যা করেছিলেন, তাই করলে খুব মুশকিল হবে। আশা করব, ১৮ তারিখ ২০১৫ কালা দিন যেন না ফিরে আসে।’’ তিনি দাবি করেন, বিজেপিই বোর্ড গঠন করবে বোলপুরে।