—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সুভাষচন্দ্র বসু এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তুলনা’ করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি এবং কুণালকে যাতে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেন, সেই দাবি জানিয়ে মমতার কাছে চিঠি পাঠাল ফরওয়ার্ড ব্লক। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ফ ব-র রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কুণালের ‘মন্তব্যের অর্থ দাঁড়ায় সুভাষচন্দ্রের থেকেও আপনি বড় ও সফল রাজনীতিবিদ’। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল গড়ে সুভাষচন্দ্র যা পারেননি, মমতা তা-ই করেছেন বলেছিলেন কুণাল। সুভাষচন্দ্রের প্রতিষ্ঠিত সেই দল ফ ব-র সাধারণ সম্পাদক জি দেবরাজন ইতিমধ্যেই কুণালের মন্তব্যকে মমতাকে ‘তুষ্ট’ করার কৌশল বলে তোপ দেগেছেন।
ফ ব-র তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পরেও কুণাল ফের সুভাষচন্দ্রকে ‘দেশনায়ক’, ‘বিশ্বের এক জন সেরা বিপ্লবী’ বলে উল্লেখ করে তাঁর পুরনো মন্তব্যে অনড় থেকেছেন। তাঁর বক্তব্য, “কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল গড়ে সাফল্যের প্রশ্নে সুভাষচন্দ্র বা পরম-শ্রদ্ধেয় প্রণব মুখোপাধ্যায়ের থেকে অনেক এগিয়ে এবং সফল মমতা। সুভাষচন্দ্র দল গঠন করেছিলেন, কিন্তু তাঁর পরিচয় সেই দল হয়ে ওঠেনি। তাঁর উত্থান আর এক ভিন্ন স্রোতের নেতৃত্বে।” এই বিতর্কে এ দিন মুখ খুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যের মানুষের মূল সমস্যাগুলি থেকে চোখ ঘোরানোর জন্য অপ্রাসঙ্গিক ভাবে রাজ্যের শাসক দলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রীকে ‘নেতাজি’ কিংবা ‘গান্ধীজি’র সঙ্গে তুলনা করে ওই মনীষীদের তো অপমান করছেনই, বাংলাকেও বিশ্বের দরবারে ছোট করাচ্ছেন। কারণ, ‘নেতাজি’ বা ‘গান্ধীজি’ এক জনই হন।’’