অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
আর্থিক ‘অনিয়মে’র মামলায় ব্যারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভবানী ভবনে প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। পাশাপাশি, অন্য একটি আর্থিক-‘দুর্নীতি’র মামলায় আজ, শুক্রবার অর্জুন-পুত্র, ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবনকেও তলব করেছে সিআইডি। অর্জুন অবশ্য ফের রাজনৈতিক কারণে হেনস্থার অভিযোগ তুলে সর্বোচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
অর্জুন ২০১৯ পর্যন্ত ভাটপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রধান ছিলেন। সেই সময়ে পুরপ্রধানের ত্রাণ-তহবিলের ৯ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ‘বেআইনি’ ভাবে বিভিন্ন জনকে পাইয়ে দেওয়া নিয়ে ভাটপাড়া থানায় ২০২০-তে যে অভিযোগ হয়েছিল, তার সূত্রেই অর্জুনকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। ওই পুরসভারই প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগের অন্য একটি মামলায় শুক্রবার পবনকেও তলব করেছে সিআইডি। তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, ওই টাকা অর্জুনের পরিবারের সদস্যদের সংস্থায় বেআইনি ভাবে কাজের অগ্রিম হিসেবে পাঠানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, আগেও একাধিক বার অর্জুন এবং পবনকে রাজ্য পুলিশ, সিআইডি তলব করলেও, তাঁরা তা ‘এড়িয়ে’ গিয়েছিলেন। অর্জুন এ দিন অবশ্য দুপুর ১টায় ভবানী ভবনে পৌঁছন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অর্জুন যা বলেছেন, তা খতিয়ে দেখে তাঁকে ফের ডাকা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই জিজ্ঞাসাবাদের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাঁকে বিরক্ত ও হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে জগদ্দলের মজদুর ভবনে অর্জুন বলেছেন, “বার বার ভবানী ভবনে ডাকছে। গাড়ির তেল খরচ করে যেতে হচ্ছে। মামলায় কিছু নেই। সময় নষ্ট করে শুধু। বিরোধী দল করি বলে এই হেনস্থা। বাবা বেঁচে থাকলে তাঁকেও ডাকত! এই বারে সুপ্রিম কোর্টে যেতে হবে।” জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের অবশ্য পাল্টা তোপ, “কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস হয়ে যাবে বলে উনি এই সব কথা বলছেন। যেখানেই যান না কেন সত্য আড়াল করবেন কী করে?” ঘটনাচক্রে, ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশ রয়েছে যে, অর্জুনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না সিআইডি।