Mask Distribution

ভিড়ের মধ্যেই মাস্ক বিলি মন্ত্রীর, বিতর্ক

বুধবার সকালে রামপুরহাটের ওই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৫৪
Share:

ঝুঁকি: দূরত্ব-বিধি না মেনেই মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের (সাদা পাঞ্জাবি, মুখে হলুদ মাস্ক) চারিদিকে ভিড়। বুধবার রামপুরহাটে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

করোনাভাইরাসের সংক্রণ এড়াতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বারবার বলা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। তার মধ্যেই গিজগিজে ভিড়ে খোদ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় মাস্ক বিলি করায় বিতর্ক বেধেছে। বুধবার সকালে রামপুরহাটের ওই ঘটনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও।

Advertisement

এ দিন সকালে রামপুরহাট পুরসভা চত্বরে দু’টি জীবাণুনাশক স্যানিটাইজ়ার টানেল উদ্বোধন করতে আসেন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই তিনি কিছু মাস্ক বিলি করতে শুরু করেন। সেই মাস্ক নিতেই আশিসবাবুর চারদিকে ভিড় জমে যায়। পুরসভার সামনে মাঠে অস্থায়ী আনাজ বাজার বসিয়েছে প্রশাসন। সেখান থেকেও আনাজ ব্যবসায়ীরা আসেন। ন্যূনতম দূরত্ব বজায় না রেখেই সকলে মন্ত্রীর চারপাশে ভিড় করেন। কিন্তু নিজে মন্ত্রী হয়ে এ ভাবে মাস্ক বিলি করলেন কেন? আশিসবাবুর জবাব, ‘‘কোনও ভিড় হয়নি। বিলি করবে বলে মাস্ক নিতে অনেকে এসেছিলেন। সকলে মাস্ক নিয়ে চলে যান।’’ পুরসভার বিরোধী দলনেতা, বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘‘শহরে স্বাস্থ্যবিধি কিছুই মানা হচ্ছে না। যার জন্য মন্ত্রীর আশপাশে গিজগিজ করছেন মন্ত্রীর সঙ্গীসাথীরা।’’

এ দিন করোনা সংক্রমণ রুখতে রামপুরহাট পুরসভায় একটি অটোমেটিক স্যানিটাইজ়ার টানেল বসানো হয়। এ ছাড়া পুরসভার মুক্তমঞ্চের পাশে আনাজ বাজার ঢোকার আগে আরেকটি টানেল বসানো হয়। এর ফলে আনাজ বাজার এবং পুরসভা ঢুকলে বেরোলে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে জীবাণুনাশক স্প্রের মাধ্যমে শোধন করা হবে। রামপুরহাট পুরসভার পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারি জানান, এর আগে কলকাতা পুরসভা এলাকায় এই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসানো হয়েছে। এই যন্ত্র দুটি বসাতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

Advertisement

শহরে মাস্কের ব্যবহার কম হওয়া নিয়ে ও বাজারে ভিড় নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিলই। আপাতত বাজার ঢোকার মুখে এবং বাজার থেকে বেরোবার পথে এই যন্ত্র বসানোয় বাসিন্দাদের সুবিধে হবে বলেই আশাবাদী পুরকর্তারা। মন্ত্রী বলেন, ‘‘বাজারে ভিড় এড়াতে শুধু রামপুরহাট হাটতলা এলাকার বাজার পুরসভার বাজারে সরানো হয়েছে তাই নয় শহরের আরো তিনটি বাজার ফাঁকা এলাকায় সরানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু কিছু লোক এখনও সামাজিক দূরত্ব না মেনে বা মাস্ক না পরে ঘোরাঘুরি করছেন। পুরসভাকে বলব বাজারে বা শহরের সর্বত্র বা পুরসভায় যে কেউ প্রবেশ করতে গেলে যেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে আবারও প্রচার করতে।’’ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার জন্য সকলকে সচেতন করার জন্যও প্রচার করতে বলা হবে বলে মন্ত্রী জানান।

বিজেপি নেতা শুভাশিসবাবুর অবশ্য অভিযোগ, ‘‘পুরসভা স্যানিটাইজ়ারের নামে লক্ষাধিক টাকা শহর সাফ করার নামে চুরি করছে। এ ক্ষেত্রেও পুরসভায় কাউন্সিলরদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে যন্ত্র বসানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement