Siuri

কেকের বাজার জমজমাট সদরে

বিক্রির হিসাবে ক্রিম কেকের বিক্রি বেশি হয়। তবে ফ্রুট কেকেরও চাহিদা কম নয়।

Advertisement

শুভদীপ পাল 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:০১
Share:

সিউড়ির দোকানে কেকের বিকিকিনি। নিজস্ব চিত্র।

বড়দিন আর কেক যেন সমার্থক শব্দ। তাই প্রতি বছরের মত এ বছরও বিভিন্ন ধরনের কেকের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

সিউড়িতে প্রতি বছরই বড়দিনের আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসে ছোট ছোট দোকান। থরে থরে সাজানো থাকে কেক। এ বছরও সেই চিত্রের ব্যতিক্রম হয়নি। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রঙিন আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে সেই সমস্ত অস্থায়ী দোকানগুলিকে। ইতিমধ্যেই কেক কেনার জন্য হাজির হচ্ছেন ক্রেতারা।

কেক বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, প্রতি বছরই বড়দিনের ঠিক দিন তিনেক আগে তাঁরা বিভিন্ন ধরনের কেকের সম্ভার নিয়ে উপস্থিত হন। মূলত দু’ধরনের কেক শহরে বেশি বিক্রি হয়। একটি হল ক্রিম কেক বা পেস্ট্রি। অপরটি হল ফ্রুট কেক। তবে ফ্রুট কেকের দাম ক্রিম কেকের থেকে বেশ খানিকটা বেশি। তাছাড়া ক্রিমকেকগুলি প্যাকেটের পাশাপাশি খোলাও বিক্রি হয়। তাই বিক্রির হিসাবে ক্রিম কেকের বিক্রি বেশি হয়। তবে ফ্রুট কেকেরও চাহিদা কম নয়।

Advertisement

এ ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে বাজারে আমদানি হিয়েছে নিরামিষ কেকের। ব্যবসায়ীদের দাবি, শহরের অনেক বাসিন্দা নিরামিষভোজী। তাই ওই ধরনের ক্রেতারা সাধারনত নিরামিষ ফ্রুট কেকের সন্ধান করেন। তবে সেই সংখ্যা ক্রিম কেক বা ফ্রুট কেকের ক্রেতাদের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে মোটের উপর বড়দিনের দিন তিনেক আগে থেকেই দোকানগুলিতে চলে আসে বিভিন্ন ধরনের কেক। বাইরের বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি কেক যেমন থাকে, তেমনই থাকে স্থানীয় বেকারিতে তৈরি কেক।

কেক বিক্রেতারা জানান, ইতিমধ্যেই ক্রেতারা আসতে শুরু করেছেন। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ২৪ এবং ২৫ তারিখে চাহিদা থাকে চরমে। সিউড়ি শহরের একটি দোকানের মালিক বিপুল দাস বলেন, ‘‘আমার আশা সমস্ত কেকই বিক্রি হয়ে যাবে।’’ আরেক বিক্রেতা স্বপনকুমার দাস বলেন, ‘‘আমরা প্রতি বছরই বড়দিনের আগে কেকের জন্য স্টল করি। সাধারনত বড়দিনের রাতের মধ্যেই ৭০ শতাংশ কেক শেষ হয়ে যায়। এ বারও সেই আশা আছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement