আজ, বৃহস্পতিবার দুর্গাপুজোর মিছিলের জন্য চলছে প্ল্যাকার্ড তৈরি। সিউড়িেত বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
ইউনেস্কোর কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় গত বছর স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলার দুর্গোৎসব। সেই স্বীকৃতি প্রাপ্তির পরে প্রথম পুজো হচ্ছে এ বছর। ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উদ্যাপনে আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে মিছিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো এই জেলায়ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা স্তরে, মহকুমা স্তরে, ব্লক ও পুরসভা স্তরে মিছিল করা হবে। যোগ দেবে স্কুলপড়ুয়ারাও। তবে আদৌও স্কুল ছুটি থাকবে না খোলা থাকবে সেই নিয়ে স্পষ্ট কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। তার জেরেই বিপাকে পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সিউড়ি শহর ও আশপাশের এলাকার কিছু স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শোভাযাত্রায় প্রতিটি স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের স্কুলে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। অথচ বৃহস্পতিবার দ্বাদশ বাদে বাকি ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস হবে কি না সেই ধন্দ রয়েছে৷ স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, নবান্ন ও সিউড়ি সদর মহকুমাশাসকের কাছে একটি চিঠি এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সেই চিঠিকে কোনও ‘নির্দেশ’ আকারে পাঠানো হয়নি।
সিউড়ির একটি স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কথায়, ‘‘নির্দেশ বলব, না অন্য কিছু বলব জানি না। তবে একটা চিঠি এসেছে। কিন্তু সেখানে স্কুল ছুটি ঘোষণার কোনও কথা উল্লেখ নেই।’’ এখন কিছু স্কুলে সামেটিভ পরীক্ষাও চলেছে। সেই পরীক্ষার কী হবে সেই নিয়েও স্পষ্ট কোনও উল্লেখ কিছু নেই। সেই কারণে জেলা সদর ও আশপাশের এলাকার স্কুলগুলি অনেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত স্কুল হবে। তারপর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট জায়গায় হাজির হবেন। বাকিদের ছুটি দেওয়া হবে।
যে সমস্ত স্কুলগুলিতে একটার পরও পরীক্ষা রয়েছে তাদের পরীক্ষা বাতিল করে অন্য কোনও তারিখে সেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘অনেক সময় কিছু অনুষ্ঠান এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সেই কারণে বাধ্যবাধকতায় যেতে হবে। তবে এ জন্য স্কুলগুলির খুব সমস্যা হচ্ছে।’’ আরেকটি স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘বুধবার বিকেল পর্যন্ত ছুটি নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা পাইনি। তাই ১২টা পর্যন্ত স্কুল হয়ে ছুটি দিয়ে দিতে হবে। কারণ আমরা শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রায় সকলেই ওই অনুষ্ঠানে যাব। তাহলে কে ক্লাস করাবে?’’ দুপুরে চড়া রোদে স্কুলপড়ুয়াদের শোভাযাত্রা করতে কষ্ট হবে বলেও মত অনেক শিক্ষকের।