Mamata Banerjee

৯১টি উদ্বাস্তু পরিবার পাট্টা পায়নি

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্তরের দশকে বাংলাদেশ থেকে কাঁটাতার পার হয়ে ভারতে আসা মানুষের একাংশ বাঁকুড়া জেলায় বসবাস শুরু করেন। সেই সময়ে সমীক্ষা চালিয়ে জেলার মোট ৪১টি উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। বাঁকুড়া সদর মহকুমায় ১৫টি ও বিষ্ণুপুর মহকুমায় ২৬টি উদ্বাস্তু কলোনি রয়েছে। পরে জেলায় উদ্বাস্তু কলোনির সংখ্যা বাড়েনি। 

Advertisement

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪০
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত পাট্টা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বাঁকুড়া জেলায় ৯১টি উদ্বাস্তু পরিবার রয়েছে যারা উদ্বাস্তু পাট্টা পায়নি। এর মধ্যে বাঁকুড়া সদর মহকুমায় রয়েছে ১৬টি ও বিষ্ণুপুর মহকুমায় ৭৫টি পরিবার।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্তরের দশকে বাংলাদেশ থেকে কাঁটাতার পার হয়ে ভারতে আসা মানুষের একাংশ বাঁকুড়া জেলায় বসবাস শুরু করেন। সেই সময়ে সমীক্ষা চালিয়ে জেলার মোট ৪১টি উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। বাঁকুড়া সদর মহকুমায় ১৫টি ও বিষ্ণুপুর মহকুমায় ২৬টি উদ্বাস্তু কলোনি রয়েছে। পরে জেলায় উদ্বাস্তু কলোনির সংখ্যা বাড়েনি।

প্রশাসনিক সমীক্ষায় ৫,৭২০টি উদ্বাস্তু পরিবারকে চিহ্নিত করে পরিবারগুলিকে উদ্বাস্তু পাট্টা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ধাপে ধাপে সেই প্রক্রিয়া এগিয়েছে। বাকি রয়েছে ৯১টি পরিবার। তারা এখনও কেন উদ্বাস্তু পাট্টা পেল না?

Advertisement

বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সব্যসাচী সরকার বলেন, “উদ্বাস্তু পাট্টা বিলির লক্ষ্যমাত্রা আমরা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছি। পর্যাপ্ত নথি জমা না করতে পারা বা নানা জটিলতার জন্য কিছু পরিবার এখনও উদ্বাস্তু পাট্টা পায়নি। তবে তাদের সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা চালাচ্ছি।”

এ দিকে জেলার উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন পাট্টা দিলেও জমির পড়চা দেয়নি। ফলে, সেই জমির দলিল হাতে থাকলেও উপভোক্তাদের নামে রেজিস্ট্রি করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সম্মিলিত বাস্তুহারা পরিষদের বড়জোড়া ব্লক সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, “জেলায় বাস করা বেশিরভাগ উদ্বাস্তু পরিবারই পাট্টা পেয়েছে। তবে জমির পড়চা না হওয়ায় রেজিস্ট্রি করা যাচ্ছে না। দীর্ঘ দিন ধরে আমরা প্রশাসনের কাছে পড়চা দেওয়ার দাবি তুলে আসছি।” কবে সেই দাবি মিটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

অতিরিক্ত জেলাশাসক সব্যসাচীবাবু জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত পাট্টা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। ফলে, যাঁরা ইতিমধ্যেই পাট্টা পেয়েছেন, দলিল নিয়ে এলে তাঁদের এ বার পড়চাও দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। বড়জোড়ার সিপিএম বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী বলেন, “কেবল জমি দিলেই হবে না। উদ্বাস্তু কলোনির রাস্তাঘাট খারাপ। অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলার জন্য নদী ভাঙনের কবলে পড়ছে উদ্বাস্তুদের জমি। এই সব বন্ধ করার বিষয়ে সরকার উদাসীন।”

বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা বড়জোড়ার তৃণমূল নেতা সুখেন বিদ অবশ্য বলছেন, “রাজ্যে পালাবদলের পরে উদ্বাস্তু কলোনিতে সামগ্রিক ভাবে উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement