bankura

টানা বৃষ্টিতে বিপত্তি, বাঁকুড়ায় দুই নদীর জলে ডুবল কয়েকটি সেতু, বন্ধ যান চলাচল

তিনটি সেতু দিয়েই আপাতত চলাচল বন্ধ। সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। আশঙ্কায় রয়েছেন বাঁকুড়ার নিচু এলাকার বাসিন্দারাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৫৫
Share:

জলমগ্ন সেতু। —নিজস্ব চিত্র।

নিম্নচাপের বৃষ্টিতে পুজোর আগে ডুবেছিল বাঁকুড়ার বেশ কয়েকটি সেতু। জলের তোড়ে সেই সেতুগুলির বেশির ভাগেরই অবস্থা এখন বেশ বেহাল। সেই ঘটনার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের জলমগ্ন দ্বারকেশ্বর নদের উপর থাকা মীনাপুর এবং ভাদুল সেতু। শিলাবতী নদীর জলে ডুবেছে সিমলাপাল ব্লকের ভেলাইডিহা সেতুও। ওই তিনটি সেতু দিয়েই আপাতত চলাচল বন্ধ। সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। পাশাপাশি আশঙ্কায় রয়েছেন বাঁকুড়ার নিচু এলাকার বাসিন্দারাও।
পুজোর পরেই জোড়া নিম্নচাপের জেরে গত রবিবার থেকে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তার প্রভাব পড়েছে বাঁকুড়াতেও। সোমবার দিনভর বৃষ্টিতে বাঁকুড়া জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর, শিলাবতী-সহ বিভিন্ন নদীতে বেড়েছে জলস্তরের উচ্চতা। এর মধ্যে দ্বারকেশ্বর নদের জলস্তর বিপদসীমা ছুঁইছুঁই। ফলে জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে মিনাপুর এবং ভাদুল এলাকায় থাকা দু’টি সেতু। ওই সেতুগুলি দিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাঁকুড়া শহরে পৌঁছতে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে অনেককে। দ্বারকেশ্বর নদের তীরবর্তী বাঁশি, আড়াল বাঁশি, বীরবাঁধ, সুরপানগর, সোনাতপল, বালিয়াড়া-সহ প্রায় কুড়িটি গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। অন্যদিকে শিলাবতী নদীর জলে সিমলাপাল এলাকার ভেলাইডিহা সেতু ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সিমলাপাল ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা।

Advertisement

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় বাঁকুড়া জেলায় মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৬৭.২ মিলিমিটার। আগামী ২৪ ঘন্টায় জেলায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকা রয়েছে। ফলে দামোদরের তীরবর্তী পাত্রসায়র, ইন্দাস, সোনামুখী ব্লকের নিচু এলাকার বাসিন্দারা এখন আশঙ্কার প্রহর গুনছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement