Suicide Case

কুয়োয় ঝাঁপ শিশু-সহ মায়ের, ধৃত স্বামী সহ ৩

দেহ উদ্ধারে দিন সকাল বেলায় একটি চিঠির খোঁজ মেলে। সেখানে লেখা ছিল, পিঙ্কি আত্মহত্যা করেছে। পিঙ্কির শ্বশুর বাড়ির তরফে দাবি করা হয়েছিল চিঠিটি পিঙ্কির লেখা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৫
Share:

সন্তানকে নিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ মায়ের। প্রতীকী চিত্র।

মহম্মদবাজার থানার ভূতুড়া পঞ্চায়েতের শুকনা গ্রামে শুক্রবার সকালে কুয়ো থেকে উদ্ধার হয়েছিল গৃহবধূ পিঙ্কি দলুই ও তাঁর দু’বছরের শিশুপুত্র উৎপল দলুইয়ের মৃতদেহ। রবিবার রাতে মহম্মদবাজার থানায় পিঙ্কির শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অত্যাচার করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার দাদা নিখিল দলুই। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতার স্বামী উজ্জ্বল দলুই, শ্বশুর প্রভাত দলুই ও শাশুড়ি সৌগী দলুকে গ্রেফতার করল পুলিশ।সোমবার তাঁদের সিউড়ি আদালতে তোল হলে বিচারক উজ্জ্বলের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বাকি দু’জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

নিখিলের অভিযোগ, ‘‘বোনকে বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অত্যাচার করত তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি ছ্যাঁকাও দেওয়া হত। বোনের স্বামীর অন্য এক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কও ছিল। বোন এ নিয়ে শ্বশুর, শাশুড়িকে জানালেও তাঁরা গুরুত্ব দিত না। এমনকি, ভয়ও দেখাত। ঘটনার আগের দিনেও বোনের উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।’’ তিনি জানান, পিঙ্কির মা সব কথা জানতেন। দু’দিন পরেই পিঙ্কির বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল।নিখিলের দাবি, ‘‘এর আগেই বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন চক্রান্ত করে বোনকে মেরে ফেলেছে এবং প্রমাণ লোপাট করতে বোন ও তাঁর দু’বছরের ছেলের দেহ কুয়োয় ফেলে দিয়েছে।’’

দেহ উদ্ধারে দিন সকাল বেলায় একটি চিঠির খোঁজ মেলে। সেখানে লেখা ছিল, পিঙ্কি আত্মহত্যা করেছে। পিঙ্কির শ্বশুর বাড়ির তরফে দাবি করা হয়েছিল চিঠিটি পিঙ্কির লেখা। এ দিন নিখিল দাবি করেন, ‘‘ঘটনাটিকে আত্মহত্যা প্রমাণ করতে চিঠিটি পিঙ্কির শ্বশুরবাড়ির লোকই লিখেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমাদের ফোন করে নিখোঁজের কথা জানানো হয়। রাতেই বোনের শ্বশুরবাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে তালা দেওয়া, কেউ নেই। বারান্দাতেই রাত কাটাই এবং সকালে থানায় গিয়ে নিখোঁজের অভিযোগ জানাই। পরে কুয়োতে বোন আর ভাগ্নের দেহ মেলে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

Advertisement

যদিও ঘটনার দিন পিঙ্কির বাবা নিবারণ দলুই জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির ভাল সম্পর্ক ছিল। কী কারণে এমন ঘটল, তা তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়।’’ এ দিন নিখিল বলেন, ‘‘সে দিন আমাদের মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। তাই অভিযোগ করিনি।’’ এ নিয়ে পিঙ্কির শ্বশরবাড়ির কারও সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। গ্রামবাসীরাও মুখ খুলতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement