Crime

বধূর যৌনাঙ্গে অ্যাসিড, ধৃত স্বামী 

পুলিশ জানিয়েছে, নলহাটি থানার ভবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সঙ্গীত লেট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

নলহাটি শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:২১
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রতি রাতে নেশা করে বাড়ি ফিরে স্ত্রীর উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ছিল। দিন কয়েক আগে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে বিড়ির ছ্যাঁকা দেওয়ার পরে গত বুধবার সেখানে ওষুধ লাগিয়ে দেওয়ার নাম করে অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন এক যুবক ও তাঁর বোন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নলহাটি থানার ভবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম সঙ্গীত লেট। অত্যাচারের অভিযোগ সঙ্গীতের বোন মিলনী লেটের বিরুদ্ধেও। শুক্রবার দু’জনকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের তিন দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন প্রতিবেশীরাই।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে বিয়ে হয় এই দম্পতির। সঙ্গীত ও তাঁর স্ত্রীর দু’টি সন্তানও আছে। বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে নিগ্রহের অভিযোগ ছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। নেশা করে বাড়ি ফিরে মারধর করায় বিবাহবিচ্ছিন্না ননদ মিলনীর সমর্থন থাকত বলেও প্রতিবেশিদের একাংশের অভিযোগ। সম্প্রতি এক পাথর ব্যবসায়ীর সঙ্গে সঙ্গীতের স্ত্রী’র মেলামেশার কথা জেনে ফেলার পরেই অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই মহিলা বলেন, ‘‘মারধর ও কটূক্তি করতে করতে বিড়ির ছ্যাঁকা দিয়েছিল। যন্ত্রণায় কাতরে উঠলেও কাউকে জানানোর ছিল না। আমার বাবা-মা কেউ নেই। বুধবার আরেক ননদের বাড়িতে নিয়ে গেল। সেখানে পোড়া জায়গায় ওষুধ লাগানোর কথা বলে অ্যাসিড ঢেলে দিল আমার স্বামী। সেই অবস্থাতেই কোনও রকমে বাড়ি ফিরেছি। কাউকে কিছু বলতে বারণ করেছিল আমার স্বামী ও ননদ।’’ তিনি জানান, বৃহস্পতিবার যন্ত্রণা বেড়ে যাওয়ায় আর চাপতে না পেরে কাঁদছিলেন। প্রতিবেশিরা সব জানার পরেই হাসপাতালে ভর্তি করান ও পুলিশে খবর দেন।

Advertisement

পড়শিরাও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে রান্নাঘরে বসে ওই মহিলাকে কাঁদতে দেখে তাঁরা জানতে চান কি হয়েছে। মারধর ও মানসিক নির্যাতনের কথা পাড়া প্রতিবেশিদের জানা থাকলেও এমন নির্মমভাবে যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে অ্যাসিড ঠালার ঘটনা বিকৃত মানসিকতারই পরিচয় বলে মনে করছেন এলাকাবাসীরা। তদন্ত চলাকালীন প্রতিবেশীদের অনেকেই এই ঘটনায় সঙ্গীত ও মিলনীর উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement