পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রবিবার। ছবি: সুজিত মাহাতো।
প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে আজ, সোমবার পুরুলিয়া আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবীন্দ্রভবনে বিকেল ৪টে নাগাদ সভা শুরুরকথা। তবে, বৈঠকের সময় এগিয়ে আসতে পারে বলে প্রশাসনের একাংশ মনে করছে। বৈঠকের প্রস্তুতিখতিয়ে দেখতে রবিবার প্রশাসনের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছিল বেলগুমা জেলা পুলিশ লাইনের মিটিং হলে। এ বার বৈঠকের স্থান পরিবর্তন হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, প্রস্তুতি সম্পূর্ণ। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রবীন্দ্রভবন চত্বর। রবিবার দিনভর জেলা পুলিশের কর্তারা নিরাপত্তা খতিয়ে দেখেন। প্রশাসনের কর্তারাও একাধিক বার সভারপ্রস্তুতি সরেজমিনে দেখেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলা বাস্তুকার কান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রভবনে সভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন।
রবীন্দ্রভবন প্রেক্ষাগৃহে একাধিক বড় মনিটর বসানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলায় উন্নয়নের যে কাজ হয়েছে, তার কিছু মুখ্যমন্ত্রীকে দেখানো হবে তাতে। ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের কিছু কাজও মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরা হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুর্গাপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার কথা রয়েছে পুরুলিয়ার ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনের মাঠে। মাঠ চত্বরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে প্রশাসন। প্রশাসনিক সভা শেষে, সোমবার রাতে সার্কিট হাউসে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার শহরের উপকণ্ঠে, ব্যাটারি ময়দানে দলীয় কর্মিসভা রয়েছে তাঁর।
মঙ্গলবার সকালে সভায় ময়দান ভরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বেলা ১১টা নাগাদ সভা শুরুর কথা। দূরের ব্লকগুলি থেকে কর্মীদের নিয়ে বাস যাতে ঠিক সময়ে সভাস্থলের দিকে রওনা দেয়, তা নিশ্চিত করতে দলের ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া-সহ জেলা নেতৃত্ব। দলের নেতাদের দাবি, রাজ্যে ক্ষমতায় পালাবদলের পরে, এই প্রথম পুরুলিয়ায় কর্মিসভা করবেন তৃণমূলনেত্রী। নেত্রী কোন বিষয়ে কী ‘দাওয়াই’ দেন, সে নিয়ে চাপা উত্তেজনা রয়েছে নেতৃত্বের একাংশের মধ্যে। এক নেতার কথায়, ‘‘কোনও কোনও নেতা যে টেনশনে রয়েছেন, তা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।’’
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, কোন কোন নেতা কর্মিসভার মঞ্চে থাকবেন, রবিবার দিনভর তা জানার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন অনেকে। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘নেতৃত্ব যাঁদের মঞ্চে থাকার অনুমোদন দেবেন, তাঁরাই থাকবেন।’’ সৌমেন জানান, জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব বা শাখাসংগঠনের নেতৃত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মঞ্চে থাকার কথা।