বৈঠকে পুরুলিয়ার জেলাশাসক ও প্রশাসনের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র
উৎসবের মরশুমে করোনা সংক্রমণ যাতে মাথা চাড়া দিতে না পারে, সে জন্য দশ দফা নির্দেশিকা তৈরি করে আসরে নামতে চলেছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন দলের বিধায়কদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের নানা দফতরের আধিকারিকেরা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেন। তাতে মাস্ক পরার অভ্যাস বাড়ানো এবং আরও মানুষের নমুনা পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে।
পুরুলিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মতে, করোনা সংক্রমণের যে গতি, তাতে এই জেলা বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে। পুজোর সময়ে যাতে তাতে আরও গতি না বাড়ে, সে দিকেই প্রশাসনের নজর। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে সতর্কতা মেনে চলার কোনও বিকল্প নেই। অনেকে মাস্ক পরলেও, আবার কিছু লোকজনের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা নেই। তাই উৎসবের মরসুমে আমাদের স্লোগান— মাস্ক মুভমেন্ট, মাস মুভমেন্ট।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, লকডাউন ঘোষণার পরে, টানা দু’মাসেরও বেশি সময় পুরুলিয়া করোনা-মুক্ত ‘গ্রিন জ়োন’ ছিল। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের কাছাকাছি। করোনায় মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েকজনের। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলায় প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পুজো মরসুমকে উপলক্ষ করে আজ, শুক্রবার থেকেই জেলা জুড়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে চাইছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর।
জেলা প্রশাসন ভবনের ওই বৈঠক শেষে কংগ্রেসের বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেখতে হবে এই সতর্কতাগুলি যাতে মানুষ মেনে চলেন।’’ তৃণমূল বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো বলেন, ‘‘ধরে ধরে শুধু কেস দেওয়া নয়, সচেতনতা তৈরি করতে হবে যাতে সকলেই মাস্ক পরে বাইরে বেরোন। কারও মাস্ক না থাকলে, তাঁকে মাস্ক দিতে হবে।’’
জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘পুজোর ভিড়ে এক জনের অসর্তকতার জন্য কত মানুষের বিপদ হতে পারে, তা আরও ভাল করে প্রচার করতে হবে।’’