জেলায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী সপ্তাহে দু’জেলায় আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সভা থেকে তাঁর সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করার কথা।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার বুধবার জানান, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাঁকুড়ায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরের দিন ১৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সরকারি সুবিধা প্রদান কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন। তবে কোথায় ওই প্রশাসনিক সভা হবে তা নিয়ে এ দিন সন্ধ্যে পর্যন্ত কিছু জানাতে পারেনি প্রশাসন। একই সঙ্গে ওই সময়েই তাঁর পুরুলিয়া জেলাতেও প্রশাসনিক সভা করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের তরফে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের দাবি, পুরুলিয়া শহরের উপকন্ঠে শিমুলিয়ার ব্যাটারি ময়দান কিংবা পুরুলিয়া ২ ব্লকের হুটমুড়া ময়দানে ওই সভা হতে পারে। পুরুলিয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়ায় এলেই জেলার জন্য একগুচ্ছ উন্নয়নের ডালি আনেন। এ বারেও মুখ্যমন্ত্রী জেলার আরও উন্নয়নের দিশা দেখাবেন।’’
এ দিকে আজ, বৃহস্পতিবার হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় কেন্দ্রীয় ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ‘মেগা বন্টন’ কর্মসূচিতে থাকার কথা। বিভিন্ন জেলায় বিধায়কেরা নিজের এলাকায় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা বণ্টন করবেন বলে ঠিক হয়েছে। তবে প্রশাসন সূত্রের খবর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় সেই কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
সবুজসাথীর সাইকেল বিলি, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, জাতিগত ও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র বিলি, শিল্পী ভাতা প্রদান, কিসান ক্রেডিট কার্ড থেকে দুয়ারে সরকারের শিবিরে আবেদন গ্রহণ করা নানা প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। পুরুলিয়া জেলার ২০টি ব্লকে ও তিন পুরএলাকায় ভার্চুয়ালি মুখ্যমন্ত্রীর ওই কর্মসূচির প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। কোথায় কোন জনপ্রতিনিধি ও আধিকারিকেরা থাকবেন, সে তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছেন। এ দিন সকালে জানা যায়, তা স্থগিত করা হয়েছে। রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী তথা রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জেলায় আসছেন। তিনি জেলায় থাকাকালীনই ওই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
তবে ‘মেগা বণ্টন’ কর্মসূচিতে দু’জেলার বিরোধী বিধায়কদের ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়দের দাবি, ‘‘ওই বণ্টন কর্মসূচি নিয়ে রাজ্য প্রশাসন আমাদের কিছু জানায়নি।’’ বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার দাবি, ‘‘বিধায়কদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সুবিধা বিলির কর্মসূচি নেওয়া হলে বিরোধী দলের বিধায়কদেরও তাতে সামিল করা উচিত ছিল। রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই তৃণমূল সরকার বিরোধী বিধায়কদের এড়িয়ে যাচ্ছে।’’ প্রশাসনের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, নির্দেশ মতো সব হচ্ছে।