পুলিশ হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। — নিজস্ব চিত্র।
ইডি-সিবিআইয়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’র হাত থেকে তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বাঁচানোর’ চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর পুলিশি হেফাজত নিয়ে এমনটাই জানালেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা দলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়। বীরভূমের বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিবঠাকুর মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুব্রতের পুলিশি হেফাজত হতেই তৃণমূল ‘কৌশল’ করছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়াশিবিরের সেই অভিযোগেই সিলমোহর দিলেন মলয়। একই সঙ্গে, অনুব্রতের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী শিবঠাকুরের বিরুদ্ধে দলগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার মলয়কে প্রশ্ন করা হয়, বিজেপি বলছে, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকাতেই এই ব্যবস্থা। এটা কি সত্যি? জবাবে মলয় বলেন, ‘‘হ্যাঁ, একশো বার। ইডি এবং সিবিআই যেখানে মিথ্যা মামলা দিয়ে একটা লোককে বিনা দোষে দিনের পর দিন আটকে রাখার চেষ্টা করছে আমরাও চেষ্টা করছি সেই লোকটিকে বাঁচানোর।’’
কিন্তু, এর পর ক্ষণেই শিবঠাকুর প্রসঙ্গে মলয় বলেন, ‘‘সে কোনও এক সময় তৃণমূল ছিল। এখন তৃণমূল আছে কি না বলতে পারব না। বর্তমানে তৃণমূলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সে যখন মামলা করেছে তখন সে নিশ্চয়ই আমাদের কাছে ভাল পাত্র হবে না। তার বিরুদ্ধে দলগত যা ব্যবস্থার নেওয়ার তা নেওয়া হবে।’’ আগামী ২৩ তারিখ দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক আছে। সেখানে শিবঠাকুরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শিবঠাকুরের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার থেকে দুবরাজপুর থানায় ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। এ নিয়ে বিজেপির জেলা তৃণমূল সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘কেষ্টবাবু যে প্রভাবশালী সেটা মলয় মুখোপাধ্যায়েরা স্বীকার করে নিলেন। আশা করি, এই সব করে মলয় মুখোপাধ্যায়রা কেষ্ট মণ্ডলকে তিহাড় জেলের জল খাওয়া থেকে আটকাতে পারবেন না। উনি নাটক করছেন।’’
গত সোমবার রাতে শিবঠাকুর পুলিশে অভিযোগ করেন, অনুব্রত ২০২১ সালে তাঁকে গলা টিপে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই অভিযোগে মঙ্গলবার সকালেই কারাবন্দি অনুব্রতকে হাজির করানো হয় আদালতে। তাঁকে ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অনুব্রতের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেননি আদালতে।