প্রদীপ সরকার। ফাইল চিত্র।
অবশেষে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের পদত্যাগপত্র গৃহীত হল। বুধবার সন্ধ্যায় তৃতীয় বার মহকুমাশাসকের দফতরে গিয়ে তৃতীয় বার ইস্তফাপত্র দেন বিদায়ী পুরপ্রধান। অবশেষে মহকুমাশাসক তা গ্রহণ করেছেন। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, ‘‘খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকারের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’
তাঁর ইস্তফা নিয়ে জটিলতা মেটার পর প্রদীপ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ মেনেই মহকুমাশাসকের কাছে ইস্তফাপত্র দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু মহকুমাশাসক জানান, পুর আইন অনুযায়ী কাউন্সিলরদের বৈঠকে ইস্তফা গৃহীত হওয়ার পরেই ওই পদ থেকে সরা যায়। তার জন্য আমায় সাত দিন সময় দেওয়া হয়। পরে উনি আরও দু’বার আমাকে ডেকে পাঠান। আমিও যাই। সন্ধেবেলা জানতে পারি, আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।’’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন প্রদীপ। বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ মহকুমাশাসকের কাছে ইস্তফাপত্র দিতে যান। কিন্তু তখন তা গৃহীত হয়নি। প্রদীপকে জানিয়ে দেওয়া হয়, পুর আইন মেনে কাউন্সিলরদের বৈঠক ডেকে আগে ইস্তফা দিতে হবে। বিকেল ৫টা নাগাদ আবার প্রদীপকে ডেকে পাঠান মহকুমাশাসক। কিছু ক্ষণ তাঁদের মধ্যে কথা হয়। পরে বেরিয়ে যান প্রদীপ। তার পর আবার সাড়ে ৬টা নাগাদ মহকুমারশাসকের দফতরে আসেন তিনি। বেরিয়ে জানান, মহকুমাশাসক তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেছেন।