জয়প্রকাশ মজুমদারকে আক্রমণ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি-তে জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো আরও তিন-চার জন আছেন। এমনটাই মনে করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ‘বিভীষণ’দের চিহ্নিত করে দল থেকে বিদায় দেওয়ার কথাও বলছেন লকেট। বুধবার বাঁকুড়ায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে জয়প্রকাশের দলবদল প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন হুগলির সাংসদ।
বুধবার বাঁকুড়ার প্রয়াত বিজেপি নেতা গুণময় চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান লকেট। সেখানে জয়প্রকাশের মতো নেতার দলবদল প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আরও তিন-চারটে জয়প্রকাশ দলের ভেতরে আছে। তারা যত তাড়াতাড়ি যায় ততই মঙ্গল। দলের ভিতরে এমন অনেক জয়প্রকাশ আছেন যাঁরা রাজনীতিকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তাঁদের চিহ্নিত করে আগে দূর করতে হবে।’’ লকেটের ব্যাখ্যা, ‘‘যারা দলের ভিতরে থেকে দলটাকে নষ্ট করবে তাদের চিহ্নিত করা হবে। চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। সবাই বুঝতে পারছে দলের ভেতর থেকে কারা দলটাকে নষ্ট করছে। তারা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলছে। অনেকে হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপে থেকে গিয়েছে। তারা নিজেরা বলে না যে দল ছেড়ে দিয়েছে। তারাই দলের ভিতরের খবর বাইরে বার করে দিচ্ছে। এমন লোকদের চিহ্নিত করে দল যত তাড়াতাড়ি বিদায় দেয় ততই ভাল।’’
বুধবার বাঁকুড়া সফরে লকেটের সঙ্গী ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এবং রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজুর কথায়, ‘‘আমাদের সঙ্গেও অনেক তৃণমূল নেতা যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাঁরা তাকিয়ে আছেন কবে তাঁরা বিজেপিতে আসবেন। এ রাজ্যের লড়াই দল বদলের লড়াই নয়। এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই।’’
লকেটের এ হেন মন্তব্যের পর জল্পনা উস্কে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা। তাঁর কথায়, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় এ ভাবে নিজের দলের মধ্যে বিতর্কিত কথা বলে তৃণমূলে আসার পথ প্রশস্ত করছেন।’’