বুধবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তৃতা করতে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে আমাকে হারাতে অ্যাডজাস্টমেন্ট করা হয়েছিল। আমাকে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছিল।’’
এবার বিধানসভাতেও নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে অভিযোগ করলেন মমতা। ফাইল চিত্র।
নন্দীগ্রামে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল বলে সরাসরি রাজ্য বিধানসভায় তাঁর ভাষণে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! বুধবার রাজ্যপালের ভাষণের উপর বলতে উঠে মমতা বলেন, ‘‘আমাকে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছিল!’’
পাশাপাশিই মমতা বলেছেন, নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাতে সমঝোতা (অ্যাডজাস্টমেন্ট) করা হয়েছিল। তবে সেই সমঝোতা কারা করেছিলেন, সে বিষয়ে তাঁর ভাষণে বিস্তারিত কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছিলেন, সেই ষড়যন্ত্রকারীদের উচিত এখন মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা!’’
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মাত্রই ১,৯৫৬ ভোটে পরাজিত হন মমতা। যে ফলাফল নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। গত বছর অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে জিতে বিধায়ক হয়ে সাংবিধানিক শর্ত পূরণ করেছেন। কিন্তু তাতেও থেমে নেই নন্দীগ্রামের ফলাফল-বির্তক। বুধবার সেই বির্তকই আরও একবার ফিরে এল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতায়।
বুধবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের উপর বক্তৃতা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেছেন, নন্দীগ্রামে তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছিল। রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের সময় গোলমাল পাকানোর অভিযোগে বিজেপি-র বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে বিধানসভার অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই প্রশ্নে বুধবার আগাগোড়াই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগের সময় বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য বা প্রতিবাদ করা হয়নি। তবে পরে সভাকক্ষের বাইরে ওই অভিযোগের জবাব দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘আসলে নন্দীগ্রামে হারের যন্ত্রণা মুখ্যমন্ত্রী ভুলতে পারছেন না! তাই বার বার সেই যন্ত্রণা থেকেই এই কথা বলে যাচ্ছেন।’’ বিরোধী দলনেতার আরও বক্তব্য, ‘‘এই মুখ্যমন্ত্রীকে শুনতে হয়েছে, তিনি নন-বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী। সেই কষ্ট থেকেই বার বার এ কথা বলছেন। যদি নন্দীগ্রাম নিয়ে ওঁর কোন অভিযোগ থাকে আর কেউ ষড়যন্ত্র করে থাকে, তা হলে তিনি তাঁর প্রশাসনকে দিয়েই তার তদন্ত করে দেখান!’’