পুরুলিয়ায় টহল। নিজস্ব চিত্র
গত দু’দিন ধরে পুরুলিয়া শহর ও আদ্রায় ‘লকডাউন’ চলছে। বুধবার সার্বিক ‘লকডাউন’-এ যুক্ত হয় জেলার অন্য থানাগুলি। জেলা পুলিশের দাবি, মোটের উপরে জেলা জুড়ে এ দিন ‘লকডাউন’ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। কিছু ধরপাকড় হলেও সামগ্রিক ভাবে পুলিশকে অতিসক্রিয় হতে হয়নি।
পুরুলিয়া শহরের হাটের মোড় এলাকায় এ দিন পুলিশ বিনা কারণে বাইরে বেরনো কয়েকজনকে আটক করে। কয়েকজনের মুখে ‘মাস্ক’ ছিল না। আট-দশ জনের একটি পুলিশ বাহিনীকে এ দিন শহরে দিনভর টহল দিতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি ছোট ট্রাক। ‘লকডাউন’ অমান্য করে সাইকেলে বা মোটরবাইকে বাইরে বেরনো লোকজনদের আটকে তাঁদের সাইকেল ও মোটরবাইকগুলি ট্রাকে তোলে পুলিশ। ‘এন্ট্রি পাস’ না থাকায় ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে আসা কয়েকটি গাড়িকেও আটক করা হয়।
জেলার অন্যত্র অবশ্য রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল। রঘুনাথপুর মহকুমার ছ’টি ব্লকেই ‘লকডাউন’-এ বন্ধের ছবি ধরা পড়েছে। তারই মাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে বাইরে বেরনো লোকজনদের পুলিশ আটকে কারণ জানতে চেয়েছে। যুক্তিসঙ্গত কারণ না থাকায় কাউকে সাময়িক ভাবে আটক অথবা বাড়ি পাঠানো হয়েছে। গত দু’দিনের মতো বুধবারেও আদ্রায় ছবিটা ছিল একই রকম। কিছু রেলকর্মী কাজে যোগ দিতে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তা ছাড়া, রাস্তাঘাট ছিল শুনশান।
মানবাজার মহকুমাতেও এ দিন লোকজন মূলত ঘরবন্দি ছিলেন। দোকানপাট খোলেনি। ঝাড়খণ্ড সীমানায় পুলিশের কড়াকড়ি চোখে পড়েছে। ঝাড়খণ্ড থেকে আসা প্রায় সব গাড়িকেই ফিরিয়ে দেয় পুলিশ। পুরুলিয়া থেকে যাঁরা বিনা কারণে সাইকেল বা মোটরবাইকে ঝাড়খণ্ড যাচ্ছিলেন, তাঁদের আটকে বাড়ি ফেরানো হয়েছে।
তবে কিছুটা ভিন্ন ছবি দেখা গিয়েছে ঝালদা এলাকায়। ঝালদা শহরের বীরসা মোড়ে পুলিশি নজরদারিতে লোকজন রাস্তায় ছিল না। মূল রাস্তা ছিল শুনশান। দোকানপাট ছিল বন্ধ। তবে শহর লাগোয়া হোসেনডি বস্তিতে এ দিন দোকানপাট প্রায় সবই খোলা ছিল। লোকে কেনাকেটা করেছে। পুলিশের অনুপস্থিতিতে রাস্তার ধারে, দোকানে আড্ডাও জমেছে। জটলা ছিল শহরের ঠাকুরবাড়ি মোড়, আনন্দবাজার মোড়, পঞ্চমুখী মোড়েও।