জনশূন্য মুকুটমণিপুর—নিজস্ব চিত্র
বাঁকুড়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র মুকুটমণিপুরের রাস্তাঘাট জনশূন্য। হোটেল, লজগুলিতে পর্যটক নেই। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় রয়েছেন ওই অতিথি নিবাসগুলির মালিক ও শ্রমিকেরা। মালিকদের দাবি, দু'মাস পরেও ‘লকডাউন’ না ওঠায় অর্থসঙ্কটে পড়েছেন তাঁরা। কর্মীদের বেতন দেওয়ার অর্থও এখন নেই। এই অবস্থায় সরকারি অর্থসাহায্যের দাবি তুলেছেন ‘মুকুটমণিপুর হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সদস্যেরা। তাঁদের বক্তব্য, অর্থসাহায্য না পেলে ব্যবসা চালানো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই অবস্থায় হোটেল ও লজগুলির কর্মীদের একাংশ কাজ হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন।
‘মুকুটমণিপুর হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি সুদীপ সাহু, সহ-সভাপতি সঞ্জীব দত্ত, সম্পাদক বিপুল সাহু বলেন, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে পর্যটনকেন্দ্রে ১৫টির মতো লজ ও হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি বেসরকারি। কোনও লজে সাত জন, কোথাও আট জন, কোনও লজে আবার ১০ জন কর্মী রয়েছেন। লকডাউন-এ প্রায় দু’মাস বসিয়ে রেখে বেতন দিতে হচ্ছে।’’
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য উত্তমকুমার কুম্ভকার, তাপসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘শীতের মুরমুমে এ বার যেটুকু আয় হয়েছিল, লকডাউন-এ তা সব শেষ হয়ে গেল। কর্মীদের মজুরি এখন কী ভাবে দেব, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি আমরা সকলে। এখানকার পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সরকারি আর্থিক সাহায্যের খুব প্রয়োজন।’’
‘লকডাউন’ উঠলে এ দাবি জানিয়ে মহকুমাশাসক (খাতড়া) ও মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রানিবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘‘এ বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে কেউ কোনও রকম লিখিত দাবি করেননি।’’বেসরকারি ওই লজগুলির কর্মীদের মধ্যে তপেন্দু সাহু, শঙ্কু দাসমোদক, কুন্দন সাহু বলেন,
‘‘লজগুলিতে শতাধিক কর্মী কাজ করেন। মালিক পক্ষ বলতে শুরু করেছেন, তাঁদের পক্ষে আর বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি সাহায্য না পেলে, অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছেন। এই অবস্থায় কাজ চলে গেলে কী ভাবে সংসার চলবে আমাদের?’’