রামপুরহাট স্টেশনে ভিড়। এখনও নেই মাস্ক। শনিবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
কোভিড সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বগতি। তার মধ্যে স্কুল, কলেজ খোলারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নির্দেশিকা মানলে আজ, রবিবার থেকে রাজ্য জুড়ে ফের চালু হতে চলেছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলবে এই মর্মে শুক্রবার নবান্ন নির্দেশিকা জারি করেছে। রাজ্য জুড়ে তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে রেল। জেলাতেও নজরে পড়েছে সেই প্রস্ততি।
সরকারের এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে যাত্রী সংগঠন থেকে জেলার সাধারণ মানুষ। তাঁদের কথায়, প্রয়োজনে মানুষকে বেরোতেই হচ্ছে। ডিজ়েলের দাম বৃদ্ধির জন্য সড়কপথে যাতায়াতের খরচ অনেক বেশি। লোকাল ট্রেন চালু হলে এক দিকে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। তেমন খরচ কিছু বাঁচবে।
সিউড়ির মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার সমিতির সম্পাদক কিসান পাল বলছেন, ‘‘জেলা সদর সিউড়ি থেকে কলকাতা যাতায়াতের স্পেশাল ট্রেন রেয়েছ। কিন্তু, তার ভাড়া বেশি। লোকাল ট্রেনে ছাড় না থাকায় অল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য অনেক হুড়োহুড়ি করে তাতে যাতায়াত করতেন। লোকাল খুললে সেই সমস্যা মিটবে। সাধারণ যাত্রী থেকে ব্যবসায়ী সকলেই উপকৃত হবেন।’’ একই বক্তব্য দুবরাজপুরের ব্যবসায়ী সত্যপ্রকাশ তিওয়ারিও। তবে ৫০ শতাংশ যাত্রী এবং কোভিড বিধি মানা হবে কী ভাবে সংশয়ে তাঁরা।
রামপুরহাট যাত্রী অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মহম্মদ নেয়ামতুল্লা বলছেন, ‘‘নিত্য যাত্রী, অসুস্থ মানুষ থেকে প্রান্তিক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করতে চান সকলেই। তাই খুব খুশি হয়েছি।’’ রামপুরহাট থেকে বিভিন্ন শাথায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন আছে, প্রান্তিক মানুষের জীবন জীবিকার জন্য এর থেকে কম খরচে আর ভাল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। ধানকাটা, ধান রোয়া, আলু লাগানো থেকে আলু তোলার কাজে রাজনগর, দুবরাজপুর, খয়রাশোল থেকে বহু কৃষি শ্রমিক জেলা ও জেলার বাইরে যাতায়াত করেন। তাঁদের অনেকেই বলছেন, ‘‘লোকাল খুললে হাঁফ ছেড়ে বাঁচি। বাসে বা গাড়ি ভাড়া করে গেলে অনেক খরচ।’’
তবে পূর্বরেলের অণ্ডাল-সাঁইথিয়া শাখা, রামপুরহাট-অণ্ডাল, রামপুরহাট-বর্ধমান, রামপুরহাট-সহেবগঞ্জ এবং রামপুরহাট শিয়ালদহ শাখায় নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রেন চলবে কিনা সেই ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশিকা শনিবার বিকেল পর্যন্ত ছিল না। রেলের আধিকারিকরা বলছেন, ‘‘স্টাফ ট্রেন হিসেবে
লোকালের সময়ে কিছু ট্রেন চালু ছিল। সেই ভাবেই চলবে না আগের মতো সেটা রবিবার বোঝা যাবে।’’