নামছে জলের স্তর। —নিজস্ব চিত্র।
বৃষ্টি থামতেই শুক্রবার থেকে ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে বাঁকুড়া জেলার পরিস্থিতি। জল ছাড়ার পরিমাণও কমানো হয়েছে বিভিন্ন জলাধার থেকে। তবে কন্ট্রোল রুম খোলা রেখে জেলা প্রশাসন।
এ দিন সকাল পর্যন্ত কংসাবতী জলাধার থেকে ৩০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়।তবে বেলা ১১-২০ নাগাদ জল ছাড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে দু’টি সেচ খাল থেকে জল ছাড়া চলতে থাকে। বাঁ দিকের সেচ খাল থেকে আড়াই হাজার কিউসেক হারে এবং ডান দিকের সেচ খাল থেকে দেড় হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া চলছে বলে কংসাবতী সেচ দফতর থেকে জানানো হয়েছে। এ দিন দুপুর ৩টে পর্যন্ত মুকুটমণিপুর জলাধারের জলস্তর ছিল ৪৩১.৭০ ফুট। দামোদরেও জলস্তর কমেছে। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জেলার সব ক’টি ত্রাণ শিবির বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ৫১০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ও ২,৪৯০টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল নামছে প্রায় সব কজ়ওয়ে থেকে।
বড়জোড়ার মানাচরের কজ়ওয়ের জল নেমে স্বাভাবিক হয়েছে যাতায়াত। তবে আনাজ, ফুল ও ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়েরা। সোনামুখীর নিত্যানন্দপুর, পাত্রসায়রের টাসুলি প্রভৃতি এলাকায় আনাজের ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকেরা। বৃষ্টি কমতেই জোরকদমে শুরু হয়েছে পুজোর মন্ডপ গুলি তৈরির কাজ। বিকেল থেকে জামা-কাপড়ের দোকানগুলিতেও পুজোর বাজারের ভিড় দেখা যায়।