নিজস্ব চিত্র
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি লিখল ‘কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতি’। মোট ১১ জনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। চিঠি পাঠিয়েছেন কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের সম্পাদক আমিনুল হোদা।
শান্তিনিকেতনের হস্তশিল্প ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিশ্বভারতীর উপাচার্য তাঁদের উপর দমন-পীড়ন নীতি প্রয়োগ করছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘পৌষ মেলা’য় অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি ‘সিকিউরিটি মানি’ চান। যা আগে কখনও চাওয়া হয়নি। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রত্যন্ত গ্রামের ছোট শিল্পীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অগ্রিম অর্থের বিনিময়ে বসতে দেওয়া হলেও পরে সেই জমা রাখা অর্থ ফেরত দিতে প্রায় ২ বছর পার করে দেন উপাচার্য। বলা হয়েছিল, মেলা শেষ হলেই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। কমপক্ষে এক লক্ষের বেশি বিভিন্ন ব্যবসায়ী ভিন্ন সামগ্রী নিয়ে পৌষ মেলা প্রাঙ্গনে বসেন। তাঁদের অনেকেরই জমা রাখা অর্থ বিশ্বভারতীর থেকে পাওনা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সেই জমা রাখা অর্থ ফেরত দেওয়া হোক।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও উত্তর দেননি। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর ‘সিকিউরিটি মানি’ ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাকিরাও দ্রুত অর্থ ফেরত পাবেন।