অভিযোগ জানাতে এসেছেন সাধুসন্তরা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
এ বার ইলামবাজারের জয়দেবে সাধুসন্তদের জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ইলামবাজার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন এলাকার সাধুসন্তরা। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরও।
জমি দখলের অভিযোগ জেলায় নতুন নয়। কখনও জাল দলিল বানিয়ে জমি বিক্রি করে দেওয়া, কখনও জমি দখলের চেষ্টার বহু অভিযোগ উঠেছে। বাদ যায়নি সরকারি জমি থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের জমি।
কিছু দিন আগে ইলামবাজারে পূর্ণদাস বাউলের জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছিল জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এ বারও সেই ইলামবাজারে সাধুসন্তদের জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল।
স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, ইলামবাজারের জয়দেব মৌজার অন্তর্গত জয়দেব কেঁদুলি অঞ্চলের অজয় নদের তীরে সর্বসাধারণের জন্য একটি কালী মন্দির ও সাধুসন্ত থাকার জায়গা রয়েছে। তার পাশে সাধুসন্তদের আশ্রমের জায়গা রয়েছে। প্রতি বছর জয়দেব মেলার সময় ওই জায়গায় অস্থায়ী ছাউনি করে ভক্তদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিছু দিন হল ওই জায়গা এক ব্যক্তি জোর করে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার আশ্রমের সাধুসন্তরা ইলামবাজার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের দ্বারস্থ হন। সেখানে লিখিত আকারে পুরো বিষয়টি জানান। আশ্রমের তরফে মধুসূদন মাহাতো, সতীশ মাহাতো, সন্তোষকুমার মাহাতোরা বলেন, ‘‘এই জায়গা দীর্ঘ দিন ধরে আশ্রমের নামে রয়েছে। বহু বছর ধরে সাধুসন্তরা এই আশ্রমে বসবাস করছেন। অথচ এক ব্যক্তি জোর করে সেই জায়গা দখলের চেষ্টা করছে।’’ এঁদের এক জনের কথায়, ‘‘যেখানে আশ্রম তৈরির জন্য আগে জমি দেওয়া হত, সেখানে এখন সাধুসন্তদের জায়গা দখল হতে শুরু হওয়ায় খারাপ লাগছে।”
আশ্রম কমিটির সভাপতি পরিতোষ চক্রবর্তীর দাবি, “আমরা সাধুদের পাশে আছি। কোনও ভাবে জায়গা জবরদখল করতে দেব না।” ইলামবাজারের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক নির্মলকুমার হালদারের মন্তব্য, “জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ তদন্ত করে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।