দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্যের প্রতিবাদের আঁচ পড়ল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলেও। নিজস্ব চিত্র।
ঝাড়গ্রামে কুড়মি সমাজের বিক্ষোভের মুখে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্যের প্রতিবাদের আঁচ পড়ল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলেও। সোমবার সকালে রানিবাঁধে ধিক্কার কর্মসূচি পালন করেন কুড়মিরা। পোড়ানো হয় দিলীপের কুশপুতুল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চেয়ে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে আগামী ১৭ মে, অর্থাৎ বুধবার ৫০ হাজার কুড়মিকে নিয়ে দিলীপের বাড়ি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতৃত্ব। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন বিজেপি সাংসদও। তিনি বলেন, ‘’১৭ তারিখ আমি দিল্লিতে থাকব। ওরা বরং ১৮ তারিখ আসুন। আমি তৈরি হয়ে বসে থাকব।’’
রবিবার ঝাড়গ্রামের শিলদায় দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কুড়মিদের জন্য কী করেছেন? পাল্টা দিলীপও দাবি করেন, খেমাশুলিতে আন্দোলনের তিনি কুড়মি নেতাদের নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন। দিলীপের এই মন্তব্যেরও বিরোধিতা করে কুড়মি সমাজ। তার প্রেক্ষিতে সোমবার দিলীপ বলেন, ‘‘ওরা বেশি বাড়াবাড়ি করলে সব ক’টা নেতার কাপড় খুলে দেব। দিলীপ ঘোষের পিছনে যেন লাগতে না আসে।’’ এতেই কুড়মিদের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। রানিবাঁধে দিলীপের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। কুড়মিরা হুঁশিয়ারি দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চেয়ে দিলীপ যদি নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার না করেন, জঙ্গলমহলে আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে।
আদিবাসী কুড়মি সমাজের রাজ্য যুব সভাপতি পরিমল মাহাতো বলেন, ‘‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দিলীপ ঘোষকে ক্ষমা চেয়ে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে আগামী ১৭ মে জঙ্গলমহল থেকে ৫০ হাজার কুড়মি কাপড় খোলানোর জন্য দিলীপ ঘোষের বাড়ি যাবেন। আমরাও দেখতে চাই দিলীপ ঘোষ কত বড় নেতা! ক্ষমতা থাকলে দিলীপ ঘোষ ওই দিন নিজের বাড়িতে থাকবেন। যদি তিনি ওই দিন নিজের বাড়িতে না থাকেন, তা হলে দিলীপ ঘোষকে জঙ্গলমহলের মানুষ বয়কট করবেন।’’ দিলীপও পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন, ওই দিন না হলেও পরের দিন বাড়িতে থাকবেনই। কুড়মিরা পরের দিন আসতে পারেন।