প্রতীকী ছবি।
রবিবার ছুটি নয়, খোলা থাকবে কন্যাশ্রী ভবনের দরজা। এক ছাত্রীর আর্জি মেনে এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন।
সম্প্রতি জেলার কুড়িটি ব্লকেই চালু হয়েছে কন্যাশ্রী ভবন। স্কুলপাঠ্য নানা বই দেখা ও পড়ার সুযোগ রয়েছে ভবনে। ই-লার্নিংয়ের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ভবনগুলিকে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানিয়েছেন, ক্লাসে পড়ানো বিষয়গুলি সেখানে কম্পিউটারে দেখার সুযোগ মিললে বুঝতে সুবিধা হবে। তা ছাড়া ভবনগুলি কন্যাশ্রীদের মধ্যে মতামত আদান-প্রদানেরও জায়গাও বটে। কোনও সমস্যায় পড়লে বা কোন সহপাঠীর কোনও সমস্যার কথা জানতে পারলে কন্যাশ্রী ভবনে গিয়ে নির্দ্বিধায় প্রশাসনের কর্তাদের জানাতে পারে তারা।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘শনিবার পাড়ায় এক ছাত্রী আমাকে জানায়, সোম থেকে শনিবার স্কুল থাকে। স্কুল সেরে আর কন্যাশ্রী ভবনে যেতে পারে না অনেকেই। অথচ তারা যেতে চায়।’’ রবিবার কন্যাশ্রী ভবন বন্ধ থাকে। ওই দিনটাও যদি খোলা রাখা যায়, সেই অনুরোধ করেছিল ছাত্রীটি। জেলাশাসক বলেন, ‘‘পরে ভেবে দেখলাম, এমন অসুবিধা অনেক ছাত্রীরই থাকতে পারে। এ বার থেকে তাই রবিবারও কন্যাশ্রী ভবন খোলা থাকবে।’’ তিনি জানান, প্রশাসন ছাত্রীদের বলেছে তাদের পরামর্শ সব সময়ে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।
জেলা প্রশসানের দাবি, কন্যাশ্রীরা পুরুলিয়ায় ইতিমধ্যেই নানা বিষয়ে এগিয়ে আসছে। প্রশাসন চাইছে, তারা যাতে খোলামেলা ভাবে নিজেদের অধিকার ও প্রাপ্যের ব্যাপারে সরব হয় সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে। প্রসঙ্গত বাঘমুণ্ডির একটি স্কুলের কথা বলছেন আধিকারিকেরা। শনিবার অধিকাংশ শিক্ষিকা ওই স্কুলে গরহাজির থাকেন বলে মিড-ডে রান্নাও বন্ধ থাকে— এমন অভিযোগ ছাত্রীদের থেকেই সম্প্রতি এসেছিল জেলাশাসকের কাছে। তার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শনিবার স্কুলটিতে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে আসেন বিডিও। জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমরা এটাই চাইছি। ছাত্রীরাই তাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসুক। প্রয়োজনে প্রশাসনকে পরামর্শ দিক।’’