Kankalitala Flooded

কোপাইয়ের জলে ভাসল কঙ্কালীতলা

কোপাই নদী ফুলেফেঁপে উঠে গোয়ালপাড়া সেতুর উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে নদীর জল। যার জেরে বোলপুর থেকে পাড়ুই যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৮
Share:

কঙ্কালীতলা মন্দিরে কোপাইয়ের জল । সোমবার কোমর জল ভেঙে ভোগ নিবেদন করতে যাচ্ছেন সেবায়েতরা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

পুজোর মুখে ফের বন্যার আশঙ্কায় কোপাই নদী তীরবর্তী ১০-১২ টি গ্রামের বাসিন্দারা। কোপাইয়ের জল ঢুকেছে কঙ্কালীতলা মন্দিরেও। এ দিন পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন জেলাশাসক বিধান রায়।

Advertisement

অগস্ট মাসের শুরুতে এক দিনের টানা বৃষ্টিতে বেশ কিছু গ্রাম জলের তলায় চলে যাওয়ার পাশাপাশি জেলার বেশ কিছু জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিলাম। এ বার নিম্নচাপের জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে ৷ শুক্র, শনি, রবিবার দিনভর চলেছে বৃষ্টি। যার ফলে কোপাই নদী ফুলেফেঁপে উঠে গোয়ালপাড়া সেতুর উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে নদীর জল। যার জেরে বোলপুর থেকে পাড়ুই যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সন্ধ্যায় কঙ্কালীতলা মন্দির চত্বরেও জল উঠে যায় কোপাইয়ের। সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবারও বৃষ্টি হয়ে চলায় এবং জল না-কমায় এক কোমর জল পেরিয়েই এ দিন দুপুরে দেবীকে ভোগ নিবেদন করেন সেবায়েত ও মন্দির কমিটির সদস্যরা। আপাতত মন্দিরে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। কঙ্কালীতলায় জল ওঠায় পাশের শিব মন্দিরে নিত্যপুজোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।

Advertisement

কোপাই নদী তীরবর্তী রূপপুর, কঙ্কালীতলা, সর্পলেহনা আলবাঁধা, কসবা পঞ্চায়েত এলাকার বল্লভপুর, মহুলা, তালতোড়,‌ কঙ্কালীতলা-সহ ১০- ১২টি গ্রামে ইতিমধ্যেই জল ঢুকে পড়েছে। নদীর জল আরও বাড়লে ওই সমস্ত এলাকা যে কোনও মুহূর্তে প্লাবিত হতে পারে বলে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে বেশ কিছু মানুষকে এ দিন উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয় প্রশাসনের তরফে। তাঁদের খাবারেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা হারাধন দাস, বিমল ঘোষ, জীবন বাগদিরা বলেন, “সামনে পুজো। এই অবস্থায় ছেলেমেয়েদের নুন জামাকাপড় থেকে শুরু করে সবই এখন জলের তলায়। জল আরও বাড়লে বন্যার রূপ নেবে। এই অবস্থায় কী করব বুঝে উঠতে পারছি না।’’ বোলপুর শ্রীনিকেতনের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন, “পরিস্থিতির উপরে আমরা নজর রেখে চলেছি। ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে বেশ কিছু মানুষকে নিরাপদ স্থানে আনা হয়েছে।” জেলাশাসক এ দিন প্রথমে গোয়ালপাড়া সেু ও পরে কঙ্কালীতলা মন্দির পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “সোমবার বিকেলের দিকে বৃষ্টি ধরেছে কিছুটা। আমরা আশা করছি, আর বৃষ্টি হবে না। তবে নদীগুলির জল বাড়ায় দু'পাশ প্লাবিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা চলছে। আমরা চেষ্টা করছি, মানুষের যাতে খুব কম ক্ষয়ক্ষতি হয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement