নির্বাচনী লড়াইয়ে নিজেদের প্রার্থী থাকলেও কাশীপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল ব্লক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। বুধবার মোর্চার কাশীপুর ব্লকের নেতা রবীন টুডু জানান, বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধু কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ বলে জানান তিনি। কাশীপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনে তাঁর জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ বুঝতে পেরেই সিপিএম বিরোধীতাকে মজবুত করতে ব্লক স্তরে দলগত ভাবে তৃণমূলকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রবীনবাবু জানান। তবে এই সিদ্ধান্তে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদন রয়েছে কি না তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বর্ষীয়ান এই নেতা।
নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল কাশীপুরে বিরোধী দলগুলির মধ্যে ভাঙন ধরাতে তৎপর হয়েছে। সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের নিচু তলার বেশ কিছু কর্মী সমর্থক ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন শাসকদলে। এখন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সমর্থনও মেলায় দৃশ্যতই উৎফুল্ল শাসক শিবির। বুধবার সোনাইজুড়ি অঞ্চলে মোর্চার নেতা রবীন টুডুর কাছে গিয়েছিলেন কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সৌমেন বেলথরিয়া। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। তারপরেই বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করার বিষয়টি জানান রবীন টুডু। সোনাইজুড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় ভাল সংগঠন রয়েছে মোর্চার।
নিজেকে মোর্চার কাশীপুর ব্লক সভাপতি বলে দাবি করে রবীনবাবু জানান, রাজ্যের তিনটি জেলাকে ঝাড়খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করার মূল দাবিটি থেকে তাঁরা সরছেন না। সিপিএম আমলে এলাকায় আদিবাসীরা শান্তিতে ছিল না বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল আদিবাসীদের সার্বিক উন্নয়ন করতে না পারলেও বর্তমান সরকারের আমলে আমরা কাশীপুরে শান্তিতে রয়েছি। আমাদের দলীয় প্রার্থী থাকলেও তিনি জিততে পারবেন না। মাঝখান থেকে ভোট ভাগাভাগির অঙ্কে সুবিধা পেয়ে যাবে সিপিএম। তাই সিপিএমকে রুখতে আমরা তৃণমূলকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সৌমেনবাবু বলেন, ‘‘রবীনবাবুর মতো প্রবীণ আদিবাসী নেতার কথা থেকেই স্পষ্ট হল তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদিবাসী বিরোধী তকমা দিয়ে বিরোধী দলগুলি অপপ্রচারে সায় নেই আদিবাসী সম্প্রদায়েরই।”