তোড়জোড়: তারাপীঠে সভার প্রস্তুতি চলছে। সোমবার। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
বীরভূমে বিজেপি-র ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনা করতে আজ, মঙ্গলবার সকালে তারাপীঠে আসছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েছে দল। তবে, প্রথম দিকে তারাপীঠের চিলার মাঠে নড্ডার কপ্টার নামা জন্য যে হেলিপ্যাড করা হয়েছিল, তার পরিবর্তন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর, চিলার মাঠের পরিবর্তে তারাপীঠ থানার কড়কড়িয়া এবং বেসিক মোড়ের মাঝে সরস্বতী শিশু মন্দিরের মাঠে নড্ডার কপ্টার নামবে। পরিবর্তন যাত্রার সূচনা ঘিরে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন রবিবার গভীর রাতে তারাপীঠে এসে পৌঁছান। সোমবার সকালে দলের পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং পরিবর্তন যাত্রার রাঢবঙ্গের দুই সহ-পর্যবেক্ষক নির্মল কর্মকার ও রাজীব ভৌমিক বীরভূম জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহাকে নিয়ে চিলার মাঠ পরিদর্শন করেন। এর পরেই মেনন স্থান পরিবর্তন করার জন্য বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন।
নির্মল কর্মকার বলেন, ‘‘চিলার মাঠে নড্ডাজি পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন এবং সভা করবেন। কিন্তু, সভাস্থলের পাশেই হেলিপ্যাড করলে সভার জায়গা অনেকটা ছোট হয়ে যাচ্ছিল। সেই কারণে হেলিপ্যাডের স্থান পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী জানান, রামপুরহাট ১ ব্লকের কিসান মান্ডির হেলিপ্যাডের অনুমোদনের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু, তারাপীঠ থেকে ওই জায়গাটি দূরে হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরস্বতী শিশু মন্দিরের মাঠে হেলিপ্যাড তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পুলিশ ও প্রশাসনকেও বিদেপি-র পক্ষ থেকে সেই মতো জানানো হয়। এ দিন দুপুরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও (রামপুরহাট), তারাপীঠ থানার ওসি ঘুরে যান। পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরাও হেলিপ্যাডের প্রস্তুতি তদারকি করেন। যে মাঠে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা হবে, সেটি ঘুরে দেখেন আইসি (রামপুরহাট) দেবাশিস ঘোষ।
জেলা বিজেপি নেতারা জানান, বীরভূমের ১১টি বিধানসভা এলাকা ঘুরে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পরিবর্তন যাত্রা পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় ঢুকবে। বর্ধমান সদর এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা হয়ে বাঁকুড়া, আসানসোল হয়ে পুরুলিয়া জেলায় প্রবেশ করবে।
এই যাত্রা ঘিরে তারাপীঠ, নলহাটি এবং হাঁসন বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির দলীয় পতাকায় টাঙানো হয়েছে। তারাপীঠের চিলার মাঠ থেকে তারাপীঠ-সাঁইথিয়া রাস্তাতেও বিজেপি-র পতাকায় ছেয়ে ফেলা হয়েছে।
জেলা সভাপতির দাবি, চিলার মাঠে পঞ্চাশ হাজার লোকের সমাগমের আয়োজন করা হয়েছে। যদিও ওই ১০ থেকে ২০ হাজারের বেশি লোকের জায়গা হওয়া মুশকিল বলেই পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে।