Shyamaprasad Mukherjee

Shyamaprasad Mukherjee: নজরে প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদের বিপুল সম্পত্তি, আয়ের উৎস খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা

বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় শ্যামাপ্রসাদের দাখিল করা হলফনামায় তিনি সম্পত্তির যে হিসাব দিয়েছিলেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২১ ১৮:১২
Share:

শ্যামাপ্রসাদকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। —ফাইল চিত্র।

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা। শ্যামাপ্রসাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য জানতে একাধিক ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামাপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকটি ঠিকাদার সংস্থার নামও পেয়েছেন তাঁরা। সেই সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রীর কোনও আর্থিক লেনদেন ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুরসভায় মোট ৫৪টি প্রকল্পে আর্থিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রবিবার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তাঁকে হাজির করানো হলে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এর পর তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তদন্তে নেমে শ্যামাপ্রসাদের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই সম্পত্তির আয়ের উৎস খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় শ্যামাপ্রসাদের দাখিল করা হলফনামায় তিনি নির্বাচন কমিশনকে সম্পত্তির যে হিসাব দিয়েছিলেন, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

বিষ্ণুপুর পুরসভায় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। —নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের দাবি, গত কয়েক দশকে অর্জিত বিপুল অর্থের একটা বড় অংশে নিজের নামে ও বেনামে বহু জমি কিনেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ। স্থাবর সম্পত্তিতে তাঁর বিনিয়োগও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, শ্যামাপ্রসাদের ব্যাঙ্ক আকাউন্টগুলিতে আর্থিক লেনদেনের বিশদ জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ‘ফ্রিজ’ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের ঘনিষ্ঠদের কাছেও শ্যামাপ্রসাদ টাকা রাখতেন বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। ওই ঘনিষ্ঠদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করার পাশাপাশি তাঁদের সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদের কত টাকার লেনদেন হয়েছে, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে একাধিক ঠিকাদার সংস্থাও। প্রয়োজনে ওই সংস্থাগুলির কর্তৃপক্ষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। শ্যামাপ্রসাদ পুরপ্রধান থাকাকালীন বিষ্ণুপুর পুরসভায় কী পদ্ধতিতে টেন্ডার ডাকা হত বা কোনও নির্দিষ্ট সংস্থা বার বার টেন্ডার পেত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুর পুরসভার এগ্‌জিকিউটিভ অফিসার গোবিন্দ ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement