রামপুরহাটে ডাউন হাওড়া-জয়নগর প্যাসেঞ্জার ট্রেন। —নিজস্ব চিত্র।
ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে তো আছেই। ছাড়ার নামগন্ধ নেই। লাইনে কি কোনও সমস্যা হল? জানতে যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খোঁজখবর শুরু করেছিলেন। তার মধ্যেই দুই লোকোপাইলটকে আচমকা ট্রেন থেকে নামিয়ে দিলেন রেলকর্মীরাই। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় ট্রেন চালাচ্ছিলেন ওই দুই চালক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রইল ডাউন হাওড়া-জয়নগর প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যাত্রীদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এই ঘটনায়। পরে অবশ্য অন্য লোকোপাইলট দিয়ে ট্রেন চালানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশনে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পৌঁছয় ডাউন হাওড়া-জয়নগর প্যাসেঞ্জার ট্রেন। কিন্তু অনেক ক্ষণ ট্রেন এগোচ্ছিল না। বেশ কিছু ক্ষণ পর রামপুরহাট রেলগেটের পর সিগন্যাল পোস্ট পেরিয়ে যায় ট্রেনটি। তার পর ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। এর পর বেশ কিছু ক্ষণ পর ট্রেনটিকে আবার রামপুরহাটের দিকে পিছিয়ে নিয়ে আসা হয়। তাতে যাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে রামপুরহাট রেল স্টেশনের আধিকারিকরা ট্রেনের ইঞ্জিন রুমে যান। দুই চালককে নামিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে অন্য চালক ওঠেন ট্রেনে। তার পর গন্তব্যে রওনা দেয় ট্রেনটি। রেলের একটি সূত্র থেকে কানাঘুষো শোনা গিয়েছে, দুই চালক মত্ত অবস্থায় ট্রেন চালাচ্ছিলেন। এই খবর পেয়েই ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেনের দুই চালক সঞ্জয় কুমার এবং রাহুল কুমারকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের নিয়ে যাওয়ার সময় কী কারণে ট্রেন থেকে নামিয়ে আনা হল, এই প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তাঁরা নিরুত্তর থেকেছেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। এখনই আর কিছু বলা সম্ভব নয়।’’