ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি সত্ত্বেও অশান্তির ঘটনা।—ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সময় অশান্তির আশঙ্কায় জারি হয়েছিল ১৪৪ ধারা। কিন্তু হিংসা রোখা গেল কই! ১৪৪ ধারার মধ্যেই বোর্ড গঠনের ঠিক আগে তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে আবারও উত্তপ্ত ভাঙড়। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএএসএফ। তবে মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবার অশান্তির বাতাবরণ এলাকায়। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে।
আইএসএফ কর্মীদের দাবি, এলাকায় বিজয় মিছিল করার জন্য ইজাজ খান নামে এক তৃণমূল নেতা তিন লাখ টাকা দাবি করেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে। টাকা না দেওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়। পাল্টা ওই ব্যবসায়ী এবং তাঁর কয়েক জন ঘনিষ্ঠ ইজাজকে মারধর করেছেন। এতে আইএসএফের কারও হাত নেই বলে দাবি করেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, ওই ইজাজ নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন। কিন্তু বোমাবাজি করে আইএসএফ অশান্তি করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। আহত ইজাজের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, আগামিকাল (বুধবার) ভোগালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। সেই বোর্ড গঠনে তৃণমূল কর্মীদের বাধা দিতে বোমাবাজি করেছে আইএসএফ।
এই অশান্তির খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশীপুর থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজির প্রমাণ হিসাবে মেলে পোড়া সুতলি। পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ইজাজ জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় কলকাতার একটু বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার থেকে ভাঙড়-২ ব্লকের সব পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু। আগামী ১২ অগস্ট পঞ্চায়েত সমিতিরও বোর্ড গঠন রয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না হয় সে জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় প্রশাসন। এর পর পঞ্চায়েত ভোটের পর আবারও ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকায়। বারুইপুরের মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার জানান ৮ অগস্ট, মঙ্গলবার থেকে ১৩ অগস্ট, রবিবার পর্যন্ত কাশীপুর থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।