Santiniketan Poush Mela 2024

পৌষমেলা হচ্ছে না! বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের

আগের বৈঠকেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল যে, এ বার পূর্বপল্লির মাঠে ছোট আকারে পৌষমেলা হবে। পরিবেশ আদালতের দূষণবিধি মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৪১
Share:

পৌষমেলা। —ফাইল চিত্র।

আশঙ্কাই সত্যি হল। এ বছর শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার আয়োজন হচ্ছে না। সোমবার কর্মসমিতির দীর্ঘ বৈঠকের পর জানিয়ে দিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। একটি যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ছোট করেও ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।

Advertisement

আগের বৈঠকেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল যে, এ বার পূর্বপল্লির মাঠে ছোট আকারে পৌষমেলা হবে। পরিবেশ আদালতের দূষণবিধি মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বস্তুত, ২০১৯ সালে করোনা আবহে এবং পরের দু’বছর বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী ওই মেলা বন্ধ রাখে বিশ্বভারতী। এ বার পৌষমেলা হবে বলে জানানোর পর সাধুবাদ জানিয়েছিলেন আশ্রমিক থেকে শান্তিনিকেতনের স্থানীয় বাসিন্দা এবং সর্বোপরি ব্যবসায়ীরা। যদিও এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তাদের দাবি, ছোট করে এই মেলা করা সম্ভব নয়। যুক্তি দেওয়া হয়, কী ভাবে ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে মেলায় এলে তাদের ফেরাবেন? উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর পৌষমেলার আয়োজনের ভার থাকে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের উপর। মেলার তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। তাই দু’পক্ষের দু’রকম মতে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সোমবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক এবং অন্যান্য কয়েক জন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্যসদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় যে, এ বছর আর পৌষমেলা করা সম্ভব নয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মূলত সফটঅয়্যার ডেভেলপমেন্ট-সহ সময় কম থাকার জন্য পৌষমেলা হচ্ছে না। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, এ বছর আর পৌষমেলা করা সম্ভব হচ্ছে না।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement