আত্মঘাতী যুবক। প্রতীকী চিত্র।
দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। স্ত্রীর মৃত্যু হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করতে পারে, এই আশঙ্কায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুবক। এই ঘটনা বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার আঁকড়াশাল গ্রামের। মৃতের নাম বিমল সাঁতরা (৩৭)। স্ত্রী ঝুমা সাঁতরা অসুস্থ অবস্থায় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিমল ভিন্রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। সপ্তাহ তিনেক আগে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, বিমল বাড়িতে ফেরার পর থেকেই স্ত্রী ঝুমার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ চরম আকার নেয়। প্রায় প্রতি দিনই মত্ত অবস্থায় বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে মারধর এবং গালিগালাজ করতেন বিমল। ঝুমা বিষয়টি বাপের বাড়িতে জানালে তাঁর আত্মীয়রা বিমলকে মারধর করে শাসিয়ে যান বলেও অভিযোগ। এর মধ্যেই শনিবার রাতে আবার ঝুমার সঙ্গে অশান্তি বাধে বিমলের। এর পর বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ঝুমা। তাঁকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে রবিবার গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় বিমলের মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পাত্রসায়র থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
বিমলের জামাইবাবু নেপাল সাঁতরা বলেন, ‘‘বিমল স্ত্রীকে মারধর করায় এক বার তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওকে মারধর করেছিল। এ বার ঝুমা বিষ খাওয়ায় বিমল ভেবেছিল, স্ত্রী হয়তো মারা যাবে। এই আশঙ্কাতেই ও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’’
ঝুমা বলেন, ‘‘আমার স্বামী প্রতিদিন মদ খেয়ে আমাকে মারধর করত। আমার শাশুড়িও আমার সঙ্গে ঝগড়া করত। মানসিক অবসাদে আমি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করি। আমার বাপের বাড়ির লোকজন আমার স্বামীকে কোনও দিন মারধর করেনি। শুধু হুমকি দিয়েছিল।’’