স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী। — নিজস্ব চিত্র।
গত বৈশাখে জমি জায়গা বেচে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থানা এলাকার নীলডি গ্রামের অণিমা মণ্ডল। মেয়ের শ্বশুরবাড়ি আদ্রা থানা এলাকার মেটাল শহরে। কিন্তু বিয়ের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মেয়েকে খুন করার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদ্রা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অণিমা। তিনি বলেন, ‘‘অনেক কষ্টে জমি বিক্রি করে মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্রপক্ষের দাবি মতো আড়াই লক্ষ টাকা, দু’ভরি সোনা ও রুপোর গয়না ছাড়াও খাট, পালঙ্ক, আলমারির মতো আসবাব দিয়েছিলাম। কিন্তু গত মাঘে মেয়ে আমাকে জানায় যে, বিয়ের সময় দেওয়া জিনিসপত্র পছন্দ না হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। স্বামী-সহ বাড়ির পুরুষরা তাঁর গায়ে হাত তোলে। গালিগালাজ করে। আমি খুব ভয়ে ছিলাম। তবুও আমি মেয়েকে বুঝিয়েছিলাম সংসার করার জন্য। কিন্তু মঙ্গলবার আমি খবর পাই যে, আমার মেয়েকে ওঁরা মেরে দিয়েছে।’’ খবর পেয়ে অণিমা সেখানে গেলে জানতে পারেন, মেয়েকে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে মেয়েকে জীবিত দেখতে পাননি।
অণিমার দাবি, নিজের সর্বস্ব বিক্রি করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে সব পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেই জিনিসপত্র পছন্দ হয়নি মেয়ের শ্বশুরবাড়ির। তা নিয়ে নিত্য গঞ্জনা দেওয়া হত মেয়েকে। করা হত মারধর, গালিগালাজ। অণিমার অভিযোগের ভিত্তিতে আদ্রা থানার পুলিশ ওই বধূর স্বামী বাপি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুরুলিয়া জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’