খুন করে নিজেই পুলিশকে ফোন করেন অভিযুক্ত। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রথমে স্ত্রী, তার পর এক ছেলে ও মেয়েকে কুড়ুলের কোপ মেরে খুন। তার পর নিজে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর। রবিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কাশীপুরের রাঙাডি গ্রামে। নিজেই পুলিশকে এ কথা জানিয়েছেন অভিযুক্ত গৌতম মাহাতো। তিনি কাশীপুরের কল্লোলী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রেলের ঠিকাদারের মুন্সির কাজ করেন গৌতম। জানা গিয়েছে, বছর ১০ আগে চাকড়া গ্রামের মমতা মাহাতোর সঙ্গে বিয়ে হয় রাঙাডি গ্রামের গৌতমের। তাঁদের দু'টি সন্তান ছিল। ছেলে দেবজিৎ মাহাতোর বয়স ছয় এবং মেয়ের প্রিয়া মাহাতোর বয়স মাত্র সাড়ে তিন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে নিজের স্ত্রী পুত্র ও কন্যাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে নিজে বিষ খেয়ে ফেলেন গৌতম। তার পর নিজেই থানায় ফোন করে খবর দেন। এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে উদ্ধার করে কাশীপুর ব্লকের কল্লোলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক মমতা ও তাঁর দুই সন্তানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আপাতত সঙ্কটজনক অবস্থায় সেখানেই ভর্তি রয়েছেন গৌতম। কেন তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন তা জানা যায়নি। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ তবে প্রতিবেশীদের অভিযোগ, নেশার ঘোরে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি।