Domestic Violence

চার মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে! থানায় অভিযোগ শাশুড়ি এবং দেওরের বিরুদ্ধে

পুলিশের কাছে মৃতার বাবা অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এ নিয়ে বধূর শাশুড়ি এবং দেওরের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:১৪
Share:

অন্তঃসত্ত্বার গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। —প্রতীকী চিত্র।

বিয়ে হয়েছিল বছর দুই আগে। চারমাসের অন্তঃসত্ত্বার গায়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর বাপেরবাড়ির লোকজন। পুরুলিয়ার কেন্দা থানার ঘটনা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার বাবা অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এ নিয়ে বধূর শাশুড়ি এবং দেওরের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১ সালের এপ্রিলে পুরুলিয়ার মানবাজার থানা এলাকার পড়শ্যা গ্রামের বাসিন্দা অবনী মণ্ডলের সঙ্গে কেন্দা থানা এলাকার মহেশপুর এলাকার মেয়ে সুচিত্রা মণ্ডলের বিয়ে হয়। সুচিত্রার বাবা নিরঞ্জন মণ্ডলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁর মেয়েকে আর বাপের বাড়ি আসতে দেওয়া হয়নি। তাঁর উপরে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা হত। গত ৯ জানুয়ারি সুচিত্রার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে ছিলেন। সেই সময় শাশুড়ি মুরুলিবালা মণ্ডল এবং দেওর তারক মণ্ডল সুচিত্রার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

পরে তাঁরাই সুচিত্রাকে বাঁকুড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করান। মৃতার বাবার আরও অভিযোগ, তিনি মেয়েকে দেখতে বাঁকুড়ার হাসপাতালে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেন সুচিত্রার শ্বশুরবাড়ির লোক জন। এমনকি, মেয়ে কেমন আছে, সেটাও জানতে পারেননি। তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে তিনি জানতে পারেন বাঁকুড়া থেকে সুচিত্রাকে রাঁচীর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং সেখানেই মঙ্গলবার সুচিত্রার মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

মৃতার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়েকে গর্ভস্থ শিশু-সহ পুড়িয়ে মারা হয়েছে। অন্য দিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসার সময় সুচিত্রা নাকি চিকিৎসককে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে আগুনে পুড়ে গিয়েছেন। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement