Higher Secondary Examination 2020

ছাত্রী কমে গেল তিন হাজার, নজরে নকল

মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ০১:৫০
Share:

বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে। পরীক্ষা-পর্ব সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে জেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও মোবাইল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকছে। ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।

Advertisement

জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) লক্ষ্মীধর দাস বলেন, “২৮টি মূল পরীক্ষাকেন্দ্র ও ৫৭টি উপকেন্দ্র মিলিয়ে মোট পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা ৮৫টি। পরীক্ষার্থীদের সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছনো, নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরা, কোথাও তারা সমস্যায় না পড়ে, তার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। তবে গত বছরের থেকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশ কিছুটা কমেছে।” প্রশাসনের তথ্য বলছে, গত বছর যেখানে জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ১৭৬ জন, সেখানে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে বসছে ২৫ হাজার ১৭৮ জন। বেশ কয়েক বছরের প্রথা মেনে এ বারও মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তবে, সেই সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেশ কম। গত বছর মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছিল ১২ হাজার ৯৯৮। ছাত্রী সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৯৩১। এ বার সেখানে মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১২ হাজার ১৬০। ছাত্রী ১৩ হাজার ১৮ জন। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বার শুধু ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ৯১৩ জন।

মাধ্যমিকের পরে জীবনের দ্বিতীয় বড় পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক। এই পরীক্ষাই ভবিষ্যৎ জীবনের দিশার চাবিকাঠি। স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষার সময় কিছুটা চিন্তা থাকে পরীক্ষার্থীদের। উদ্বেগে থাকেন অভিভাবকেরাও। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পরীক্ষা-পর্ব সুষ্ঠু ভাবে মেটাতে জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে। পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে পানীয় জল, শৌচালয় প্রভৃতির ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। বাস পরিবহণ পুরোপুরি স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে পরীক্ষাকেন্দ্রে বাইরে ও কেন্দ্র চত্বরে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশকর্মী কোথায় কী ভাবে মোতায়েন করা হবে, এ সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের কাছেও গুরুত্ব সহকারে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করার আবেদন রাখা হয়েছে।

Advertisement

উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে নিয়ে প্রবেশ না করার বিষয়টিতে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। স্কুল পরিদর্শক বলছেন, ‘‘পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থী যাতে মোবাইল নিয়ে না ঢুকতে পারে, সেটা হলে ঢোকার আগেই চেক করা হবে। তার পরেও যদি কেউ এমন করে তা হলে তার পরীক্ষা বাতিল হবে।’’ মাধ্যমিকের মতো শিক্ষকদেরও মোবাইল পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা কোথাও অসুবিধায় পড়লে তার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তার নম্বর ৭৫৪৮৯৫৬৬৮৮।

পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগ নতুন নয়। ফি-বছরই এমন অভিযোগ ওঠে। কিছু ক্ষেত্রে বাইরে থেকেও পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করার অভিযোগ সামনে এসেছে অতীতে। এমন অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়াতে এ বার তৎপর উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ও প্রশাসন। গত বছর যে-সব কেন্দ্রে সামান্য উত্তেজনা ছড়িয়েছিল, সেই সব কেন্দ্রে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। ভিডিয়োগ্রাফি হবে। জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির মধ্যে স্পর্শকাতর হিসেবে ২৯টিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে রামপুরহাট মহকুমাতেই রয়েছে ২১টি পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement