নবান্নের আগে আনাজ বাজারে ভিড়। মহম্মদবাজারে। নিজস্ব চিত্র।
আকাশছোঁয়া আনাজের দাম। নবান্ন উৎসবে পালন করতে নাভিশ্বাস বাসিন্দাদের।
নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন খাবারের। গ্রামে পূজিত হন অন্নপূর্ণা ও শিব। জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অর্কেস্ট্রা, এমনকি যাত্রাপালাও। এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে চিত্রটা একটু অন্যরকম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াই এ বার উৎসব হচ্ছে।
আজ, রবিবার মহম্মদবাজার ব্লকের বেশিরভাগ গ্রামেই রয়েছে এই নবান্ন উৎসব। শনিবার তাই কেনাকাটার জন্য মহম্মদবাজার কলোনি মাঠে আনাজ বাজারে ভিড় জমান এলাকার বহু মানুষ। কিন্তু আনাজের দাম দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এসে দিশাহারা আমজনতা।
গত সপ্তাহে ২০ টাকা কেজিতে মুলো পাওয়া গিয়েছিল। শনিবার সেই দাম ছিল ৩০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের ৩০ টাকা কেজি টোম্যাটো এ দিন বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। ২০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পটলের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৩০ টাকা কেজি। এ দিন পটল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি দরে। দুটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ছিল ১৫ টাকা। শনিবার একটি ফুলকপি বা বাঁধাকপিই বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়। এ ছাড়াও করলা, ঢেঁড়স, ধনেপাতা, শাক সব কিছুর দামই দ্বিগুণ বেড়েছে। কাঁচালঙ্কা ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নবান্ন উৎসবের বাজার করতে এসে তাই হাত পুড়েছে গৃহস্থের।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবলু বাগদি, তাপস বাগদি, উত্তম ধীবররা বলেন, ‘‘বাজারে যেহেতু চাহিদা রয়েছে তাই বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়েই অল্প জিনিস কিনে বাড়ি ফিরেছি।’’ উদয় মণ্ডল, সমীরণ মণ্ডল বলেন, ‘‘নবান্ন উৎসব এই বছর পালিত হলেও জিনিসপত্রের দামের কারণে অন্যবারের মতো এই বার এতো আনন্দের সঙ্গে সাড়ম্বরে সাথে কাটবে না।’’