তারাপীঠ মন্দিরে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।
আশি বছরের বৃদ্ধ অসুস্থ বাবা ‘গুরুজী’ শিবু সোরেনকে সঙ্গে নিয়ে তারাপীঠে পুজো দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
দুমকা রামপুরহাট সড়ক ধরে দুমকার খিজুড়িয়ার বাসভবন থেকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর তারাপীঠে রবিবার দুপুরে পুজো দিতে আসার কথা ছিল। এর জন্য সকাল থেকেই দুমকা রামপুরহাট সড়কে পুলিশি নজরদারির বন্দোবস্ত ছিল। দুমকা রামপুরহাট সড়ক ধরে রামপুরহাট শহর ঢোকার পরে সেচপল্লি এলাকার সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নেওয়ার পরে রামপুরহাটের ছ ফুঁকো থেকে সানঘাটা বাইপাস রাস্তা-সহ জাতীয় সড়ক ধরে রামপুরহাটের মনসুবা মোড় থেকে তারাপীঠ মন্দির যাওয়ার জন্য দিনভর পুলিশি নজদারির ব্যবস্থা ছিল।
পুলিশ ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায় দুপুর ২টো ২০ নাগাদ বাবা শিবু সোরেন, মা রুপি সোরেন, বৌদি তথা ঝাড়খণ্ডের জামা বিধানসভার বিধায়ক সীতা সোরেন-সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে দুমকা থেকে বেরিয়ে দুপুর ৩টে ৪০ নাগাদ রামপুরহাটের সার্কিট হাউসে আসেন হেমন্ত সোরেন। সার্কিট হাউসে বিশ্রাম নিয়ে তারাপীঠে বিকেল ৪ টে ৪৫ মিনিটে পুজো দিতে আসেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দিতে আসার পথে তারাপীঠ মন্দির ঢোকার আগে পান্ডাপাড়ার মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে মন্দির যাওয়ার পথে অসুস্থ ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন ও তাঁর স্ত্রী রুপি সোরেন টোটোয় চেপে আসেন। কিছুটা পথ টোটোয় চেপে আসার পরে শিবু সোরেন মন্দিরে হেঁটে প্রবেশ করেন। হেমন্ত সোরেন-সহ পরিবারের সদস্যদের পুজোর ব্যবস্থা করেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায়। ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার মাতারাকে রাজবেশে শৃঙ্গার পুজোর ডালি নিবেদন করেন।
পুজো দেওয়ার পরে হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘‘অনেকদিন আগে একা তারাপীঠ এসেছিলাম। এ বারে পরিবার নিয়ে পুজো দিয়ে মায়ের কাছে মানবজাতির কল্যাণ এবং শান্তি কামনা করলাম। করোনা জয়ী আশি বছরের অশক্ত বৃদ্ধ ‘গুরুজী’ তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন বলেন, ‘‘তারাপীঠে অনেকদিন পরে পুজো দিয়ে ভাল লাগল।’’