ঝুঁকি: বাঁকুড়ার মানকানালির কজ়ওয়ে উপচে বইছে গন্ধেশ্বরী। বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় প্রতিদিন এ ভাবেই পারাপার করতে হচ্ছে বহু মানুষকে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
সাম্প্রতিক বানভাসি পরিস্থিতির পরে, দিনে-দিনে বাঁকুড়া জেলার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলায় প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পনেরো হাজার ত্রিপল ও পঁচিশ হাজারের মতো পোশাক বিলি হয়েছে। কম-বেশি মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা প্রায় আঠারোশো। সামগ্রিক রিপোর্ট রাজ্যে পাঠানো হয়েছে।
অতিবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাত্রসায়র ও ইন্দাস ব্লকে। বিডিও (ইন্দাস) মানসী ভদ্র চক্রবর্তী জানান, পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে ত্রিপল বিলি করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ণ ও আংশিক মিলিয়ে ২৬৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরেজমিনে সব কিছু খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। এখনও ফি দিন মানুষেরা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন।
পাত্রসায়রের বিপর্যয় ব্যবস্থাপন আধিকারিক শেখ আনারুল হক জানান, পাত্রসায়রে এ পর্যন্ত ১,৩৫৪টি ত্রিপল বিলি হয়েছে। ৯০ কুইন্টাল ত্রাণের চাল বিলি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। ব্লকের পরিস্থিতি মোটের উপরে স্বাভাবিক।
এ দিকে, সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিতে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি ব্লকের বালিতোড়া ও রামচন্দ্রপুর-কোটালডি পঞ্চায়েতের ৫২টি কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বালিতোড়ার সুনুড়ি ও বাখুলিয়া গ্রামের দু’টি পরিবারকে রাখা হয়েছে স্থানীয় স্কুলে। বালিতোড়ার পঞ্চায়েত প্রধান কালিদাস সরকার জানান, বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দু’হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, রামচন্দ্রপুর-কোটালডি পঞ্চায়েতের কিনাইডি কুমোরপাড়ার দু’টি পরিবারের আট জন সদস্য এখনও স্থানীয় স্কুলে আছেন। গত শনিবার রাতে গ্রামের পুকুরের পাড় ভেঙে জলমগ্ন হয়ে পড়ে ওই পাড়ার দু’টি বাড়ি। পঞ্চায়েত জানিয়েছে, পরিবার দু’টিকে খাবার-সহ অন্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।