বিপত্তি: লাউয়ের জমিতে জমেছে জল। বুধবার ঝালদার পুস্তি পঞ্চায়েতের হেপাদ এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
দিনভর গুমোট গরমের পরে, বুধবার দুপুর থেকে আকাশের মুখ ভার হতে শুরু করে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায়। সাড়ে তিনটে নাগাদ হঠাৎ দমকা হাওয়ার সঙ্গে ঝালদা ১ ব্লক এলাকায় শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টির মাঝে কোথাও কোথাও শিল পড়তে শুরু করে। তার জেরে ফসলের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। বিকেল ও সন্ধ্যায় ঝড়-বৃষ্টি হয় পুরুলিয়ার মানবাজার, বান্দোয়ান ও বাঁকুড়ার খাতড়ার কিছু এলাকায়।
ঝালদার ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া পুস্তি-সহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ শিলা পড়ায় জমিতে থাকা লাউ, কুমড়ো প্রভৃতি গ্রীষ্মকালীন ফসলের ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছেন এলাকার চাষিরা। তাঁদের মধ্যে পুস্তি পঞ্চায়েতের হেপাদ গ্রামের লখিন্দর মাহাতো, ফুলচাঁদ মাহাতো, সুভাষ মাহাতোদের কথায়, ‘‘জমিতে প্রচুর লাউ, কুমড়ো, ঢেঁড়শ, করলা রয়েছে। শিলার আঘাতে ফসল ফেটে নষ্ট হয়েছে।’’
এলাকার চাষিদের আক্ষেপ, এমনিতেই এ বছর ‘লকডাউন’-এর জেরে ফসলের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তার উপরে শিলাবৃষ্টি, যেন কাটা ঘায়ে নুন ছড়িয়ে দিয়ে গেল। লাউ, কুমড়োর গায়ে দাগ পড়ে যাওয়ায় এ বার জলের দামে সব বেচে দেওয়া ছাড়া, তাঁদের কোনও উপায় রইল না। ঝালদা এলাকার এক লঙ্কা চাষির কথায়, ‘‘বেশ কিছুক্ষণ শিলা বৃষ্টি চলায় জমিতে থাকা লঙ্কাগাছ শুয়ে পড়েঠে।
অনেক এলাকার চাষিদের দাবি, শিলা না পড়ে শুধু বৃষ্টি হওয়ায় হয়েছে। এতে সেচের কাজ হল।