দু’বছর আগে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের শৌচাগারের জানলা ভেঙে পালিয়ে যাওয়া এক বিচারাধীন বন্দিকে উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করল পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ।
খুনের মামলায় বিচারাধীন বন্দি মুক্তিপদ কুমার মথুরার একটি আশ্রমে রীতিমতো সাধকের বেশে দিন কাটাচ্ছিলেন। গলায় তুলসীর মালা, মস্তক মুণ্ডন করেও অবশ্য শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার তাকে পুরুলিয়া আদালত দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বলরামপুর থানা এলাকার ঘাটবেড়া কেরুয়া অঞ্চলের তিলাই গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিপদ কুমার পেশায় হোমগার্ড ছিলেন। ২০২১ সালে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হন মুক্তিপদ। বিচারাধীন অবস্থায় তিনি পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন। ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকেই পরদিন অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর সকালে শৌচাগারের জানলা ভেঙে পালিয়ে যান মুক্তিপদ। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ।
কী ভাবে মিলল খোঁজ? পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন মুক্তিপদর সন্ধান করেও খোঁজ মিলছিল না। পরে তিনি মোবাইলের সিম পুনরায় চালু করায় ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখেই পুলিশ জানতে পারে মুক্তিপদ উত্তরপ্রদেশের মথুরায় রয়েছেন। পুরুলিয়া থেকে দুই পুলিশ অফিসার-সহ মোট চারজনের একটি দল চলতি মাসের ১৭ তারিখ মথুরা রওনা দেন। সেখানে গিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাহায্য নিয়ে সন্ধান মেলে মুক্তিপদের। তাঁকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। ১৯ এপ্রিল ধৃতকে মথুরা আদালতে তোলা হয় এবং ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসাহয় পুরুলিয়ায়।