প্রতীকী ছবি।
আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরিয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ বার পুলিশ বাঁকুড়ার সেই প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা শান্তি সিংহকে গ্রেফতার করল। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করার পরে বাঁকুড়া আদালতে তোলা হয়। বিচারকের নির্দেশে তাঁর ১৪ দিনের জেল হাজত হয়েছে।
অভিযোগকারীদের পক্ষের আইনজীবী সুজিত ঘোষ জানান, মূলত তিনটি মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা বেরিয়েছিল শান্তিবাবুর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে তিন ব্যক্তির কাছ থেকে বহু বছর আগে লক্ষাধিক টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি সময় মতো তা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ তুলে ওই ব্যক্তিরা আদালতের দ্বারস্থ হন। সুজিতবাবুর দাবি, আদালত শান্তিবাবুকে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তারপরে শান্তিবাবু ‘চেক’ তুলে দিয়েছিলেন অভিযোগকারীদের। কিন্তু অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় সেই চেক ‘বাউন্স’ হয় বলে অভিযোগ।
এরপরে আদালতেও হাজিরা দিচ্ছিলেন না শান্তিবাবু। অগত্যা আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সুজিতবাবুর দাবি, “চেক বাউন্স করা ও আদালতে হাজিরা না দেওয়ার জন্যই শান্তিবাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। সেই মোতাবেকই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” শান্তিবাবুর পক্ষের আইনজীবী প্রসেনজিৎ ঘোষের দাবি, “আমার মক্কেলকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করব।”
জানা গিয়েছে, শান্তিবাবু ১৯৯৪ সালে প্রথমবার পুরপ্রধান হয়েছিলেন কংগ্রেসের টিকিটে জিতে। পরের বছর ১৯৯৫ সালে ফের পুরভোটে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে পাঁচ বছরের জন্য পুরপ্রধান হন তিনি। পরে শান্তিবাবু তৃণমূলে যোগ দেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাঁকুড়া শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। মাঝে শহরের আট নম্বর ওয়ার্ড থেকেও কাউন্সিলর হন। গত পুরভোটে বাঁকুড়া শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন তিনি। বাঁকুড়ায় পুরনো তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত শান্তিবাবু। দলে তিনি জেলা সহ-সভাপতি পদেও ছিলেন। এ দিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের বাঁকুড়া সংসদীয় জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “আমি কলকাতায় রয়েছি। ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছি।”