কর্মী সম্মেলনে। নিজস্ব চিত্র
দলের কেউ অন্যায় করে থাকলে তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। রবিবার ইলামবাজারের সভায় বললেন, ‘‘করজোড়ে অনুরোধ করছি, রাগ ভুলে বিধানসভার ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিন।’’
আবাস যোজনার বাড়ি, ১০০ দিনের কাজ সহ বিবিধ সরকারি সুযোগ-সুবিধা বণ্টনে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারবার। তার ফল বিধানসভা নির্বাচনের ভোটবাক্সে পড়তে পারে, এমন রাজনৈতিক শিবির থেকে জেলা তৃণমূলের নেতাদের একাংশের মনেও এই সংশয় রয়েছে। সেই আশঙ্কার সঙ্গে অনুব্রতর এ দিনের মন্তব্যকে মিলিয়ে দেখছেন এঁদের অনেকেই।
রবিবার বিকেলে ইলামবাজারের রাইস মিল ময়দানে ব্লক তৃণমূলের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল। সেখানে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ, ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান সহ অন্যরা। বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘‘একুশে আমার বা চন্দ্রনাথ সিংহের, ত্রিস্তর পঞ্চায়েত বা পুরসভার ভোট নয়। এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারও মুখ্যমন্ত্রী করার ভোট। তাঁকে আবারও মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে।’’ এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘যদি কোনও প্রধান বা সদস্য অন্যায় করে থাকেন, কোনও সাধারণ কর্মী চোখ রাঙিয়ে থাকেন, তা হলে আমি তাদের হয়ে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। করজোড়ে অনুরোধ করছি, রাগ ভুলে ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিন।’’
আরও পড়ুন: বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গড়তে ছাব্বিশ কোটি
লোকসভা ভোটে জেলার দুটি আসনে হেরে গেলেও তৃণমূলের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলেছিল বিজেপি। বোলপুর শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ড এবং ইলামবাজার ব্লকের বহু অঞ্চলে লোকসভার ফলের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সেই অঙ্ক স্মরণে রেখে এ দিন স্থানীয় নেতাদের কাছে লোকসভার ফল কেন খারাপ হল, তা জানতে চান জেলা সভাপতি। সমস্ত বিরোধী দলের কর্মীদের তৃণমূল মুখী করার জন্য দলের নেতাদের নির্দেশও দেন। বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পঞ্চায়েতের প্রধান, সদস্য ও দলের কর্মীদের হয়ে উনি ক্ষমা চাইলেও দলের দুর্নীতি আড়াল করা যাবে না। মানুষকে ভুল বুঝিয়েও মন জয় করা যাবে না। বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।’’ এ দিকে, আমপান ও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন অনুব্রত। তাঁর মতে, ‘‘ভারতবর্ষে করোনা ছড়ানোর পিছনে দায়ী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।’’