চপ বিক্রি করছেন দিলীপ— নিজস্ব চিত্র।
বাজারে আলু অগ্নিমূল্য। প্রতি কেজির আলুর দাম ৪০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে চপ-শিঙাড়াতেও। সাধারণ মানুষ যখন আলু কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন, তখনও মাত্র ১ টাকায় সাধারণ মানুষকে চপ খাওয়াচ্ছেন দিলীপ দে। তিনি থাকেন বীরভূমের কোমা গ্রামে। তাঁর ১ টাকার চপ খেতে আশপাশের গ্রাম থেকেও আসেন অনেকে।
রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই একটি সাধারণ চপের দাম ৫ টাকা। কোথাও কোথাও তা আবার আরও বেশি। আলুর দাম বাড়ায় কোথাও আকারেও ছোট হয়েছে চপ। তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন— এই পরিস্থিতিতে ১ টাকায় কী ভাবে চপ দিচ্ছেন দিলীপ? এর উত্তর তিনি বলেছেন, ‘‘গ্রামের অনেক মানুষ গরিব৷ সেই কারণেই আমি ২০ বছর ধরে এই ১ টাকার চপ বিক্রি করে আসছি। যাতে গরিব মানুষরাও কিনে খেতে পারেন।। সেই কারণে বিক্রিও ভাল। কোমা গ্রাম ছাড়াও আশেপাশের প্রচুর মানুষ আসেন আমার চপ কিনতে। আর আমার মানুষকে খাইয়েই তৃপ্তি। ব্যবসায় কিছুটা ক্ষতি হলে তাই কিছু মনে হয় না।’’
দিলীপের দোকানে চপ কিনতে আসা উষা দাস বলেছেন, ‘‘আমি গৃহবধূ। আমার বিয়ের আগে থেকেই এখানে চপ বিক্রি হচ্ছে। আজও দাম সেই ১ টাকা। আমরাও মাঝে মধ্যে ভাবি কী ভাবে উনি ১ টাকায় চপ বিক্রি করেন।’’ ছোট্ট কোমা গ্রামের দিলীপ ১ টাকার চপ বিক্রি করে এখন ভাইরাল।