অসুস্থদের চিকিৎসা চলছে। সিউড়ির সদর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহ দুয়েক আগেই রাজনগরে লক্ষ্মীপুজোর বাসি প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ২২ জন গ্রামবাসী। তাঁদের মধ্যে তিন জনের মৃত্যুও হয়। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই আবারও বাসি প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিন ব্যক্তি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার পালাজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা নিতাই বাদ্যকর, সুখু বাদ্যকর ও মুখু বাদ্যকর নামে এই তিন ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেটে ব্যথা, পাতলা মল ও বমির উপসর্গ নিয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
জানা গিয়েছে, রবিবার কালীপুজো উপলক্ষে ঢাক বাজাতে পালাজুড়ির ১১ জন আসানসোল সংলগ্ন পাঁচগাছিয়া গ্রামে যান। সোমবার দুপুরে এবং রাতে সেখানে রবিবার রাতে বলি হওয়া পাঁঠার মাংস ও প্রসাদ খান। সোমবার রাত থেকেই কয়েক জনের পেটে ব্যথা ও পাতলা মল শুরু হয়। তবে এই তিন ব্যক্তি সুস্থ অবস্থাতেই মঙ্গলবার সকালে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যান। বাড়ি ফেরার পরেই একই উপসর্গে আক্রান্ত হন তিন জনও।
পরিবার সূত্রে খবর, ব্যথা ও বমি বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের স্থানীয় কুন্ডহিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় দেড় দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরেও অবস্থায় বিশেষ পরিবর্তন না হওয়ায় এ দিন সন্ধ্যায় তাঁদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিতাই বাদ্যকরের পরিবারের সদস্য হাবল বাদ্যকর বলেন, “সারা রাত জেগে পুজোয় বাজানো এবং পরের দিন বিসর্জনে বাজানোর পরে ওঁরা বাড়ি ফিরে যখন প্রথমে অসুস্থ হন, তখন আমরা ভেবেছিলাম হয়তো ক্লান্তি থেকেই অসুস্থতা হয়েছেন। কিন্তু ওঁদের সঙ্গে আরও যাঁরা ঢাক বাজাতে গিয়েছিলেন, সকলেরই একই উপসর্গ দেখা দিয়েছে শুনে বুঝতে পারি খাবার থেকেই কোনও সমস্যা হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে বমি কিছুটা কমলেও পেটে ব্যথা ও পায়খানার সমস্যা একই রকম থাকায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।”
সিউড়ি সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের তরফ থেকে প্রত্যেককে ইউএসজি করার কথা বলা হয়েছে। সরকারি খরচেই তাঁদের সমস্ত পরীক্ষা করা হবে। তিন জন স্থিতিশীল রয়েছেন বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।